Thank you for trying Sticky AMP!!

ছবির সেটে নিজের সম্মান খুইয়েছেন 'ব্যাটম্যান'

রবার্ট প্যাটিনসন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

৩৪ বছর বয়সী রবার্ট প্যাটিনসনের শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে, লন্ডনের থিয়েটার থেকে সোজা ‘হ্যারিপটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার’–এ। তারপর ‘টোয়ালাইট’ সিরিজের অ্যাডওয়ার্ড কালেন থেকে রাতারাতি বিশ্বের প্রথম শ্রেণির তারকা বনে গেলেন।

কত তরুণ–তরুণীর শৈশব–কৈশোরের স্মৃতি রাঙিয়েছে বেলা (ক্রিস্টেন সেটওয়ার্ট) আর অ্যাডওয়ার্ডের প্রেম, তার ইয়ত্তা নেই। কিন্তু ‘টোয়ালাইট’ সিরিজের ছবিগুলো মোটেও পছন্দ নয় এই ছবির মূল অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসনের। কেবল অপছন্দ, তাই-ই নয়, ছবিগুলোকে রীতিমতো ঘৃণা করেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানালেন, এ ছবির সেটে নিজের সম্মান খুইয়েছেন এই ‘ব্যাটম্যান’।

শিগগিরই মুক্তি পাবে ক্রিস্টোফার নোলান পরিচালিত, নতুন এই ‘ব্যাটম্যান’ অভিনীত রহস্য ড্রামা ধাঁচের ছবি ‘টেনেট’। এরপর মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ‘দ্য ডেভিল অল দ্য টাইম’। আর ২০২১ সালে গিয়ে মুক্তির কথা রয়েছে ‘দ্য ব্যাটম্যান’।

এসব ব্যস্ততার মধ্যেই বড় পর্দার এই তারকা যে ছবিটি তাঁকে রাতারাতি এত বড় তারকা বানিয়েছে, সেই ছবি নিয়ে বললেন, ‘“টোয়ালাইট” সিনেমার জন্য আমার যে ছবিগুলো তোলা হলো, সেগুলো দেখেও পছন্দ হয়নি। সেই ছবিগুলোতে আমাকে অদ্ভুত লাগছিল। চিত্রনাট্য, আয়োজন থেকে সবকিছুই বলছিল, এই সিরিজ চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হিটগুলোর একটি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রাখে। আমার ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠার জন্যও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমি মনপ্রাণ উজাড় করে নিজের কাজটা করেছি। কিন্তু কখনো এইসব “বাজে”, অদ্ভুত সিনেমা দেখিনি। এমনকি কেউ আমার সঙ্গে এই সিনেমা নিয়ে আলাপ জুড়তে এলেও বিরক্ত লাগত। এই ছবিতে আমি খুবই জাজমেন্টাল একটা চরিত্র করেছি। চরিত্রটি অনেকটাই মানসিক বিকারগ্রস্ত। ছবির সেটে এই চরিত্র হয়ে উঠতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, আমি আত্মসম্মান হারিয়েছি। মনে হয়েছে, আমি একটা খারাপ মানুষ।’