Thank you for trying Sticky AMP!!

রিচার্ডের স্মরণে লেননের কাল্পনিক চিঠি

জন লেনন এ ছবি দিয়ে স্মরণ করলেন লিটল রিচার্ডকে। ছবি: ইনস্ট্রাগ্রাম

৮৭ বছর বয়সে কিংবদন্তি মার্কিন গায়ক ও গীতিকার লিটল রিচার্ডের সুর থেমে গেল শুক্রবার। বিটলস, দ্য রোলিং স্টোনস, বো ডিডলে এভারলি ব্রাদার্স, এলভিস প্রিসলি, এলটন জন, মিক জ্যাগার, ডেভিড বোওয়ি, রড স্টুয়ার্টসহ বিশ্ববিখ্যাত সংগীতশিল্পীরা তাঁকে দিয়ে প্রভাবিত। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বসংগীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একের পর এক ভেসে উঠছে রিচার্ডের মৃত্যুতে তাঁকে নিয়ে স্মৃতিকথা আর শোকগাথা।

ইনস্টাগ্রামে জন লেননের কাল্পনিক চিঠি।

বিটলস নেই, জন লেনন নেই। কিন্তু আছে জন লেননের ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটার একাউন্ট। ভেরিফাইড সেসব একাউন্ট থেকে নিয়মিত পোস্ট ভেসে ওঠে অন্তর্জালের দুনিয়ায়। অফিসিয়াল সেসব একাউন্ট থেকে কাল্পনিক চিঠিতে বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ গায়ক, গীতিকার ও বিশ্বশান্তির কর্মী জন লেনন তাঁর 'লং টল স্যালি' গানের ভিডিওর সঙ্গে  লেখেন, 'লিটল রিচার্ড সর্বকালের সেরাদের একজন। আমার এক বন্ধু একবার হল্যান্ড থেকে একটা গানের টেপ নিয়ে এল। এর এক পাশে বাজে লং টল স্যালি। আর আরেক পাশে স্লিপিং অ্যান্ড স্লিডিং। আমি পাগল হয়ে গেলাম। সবচেয়ে ভালো লাগত, কোনো একক গান শুরুর আগে রিচার্ড যেই চিৎকারটা করতেন।

জন লেননের ফেরিফাইড ফেসবুক পেজে কথাগুলো লেখা হয়।  

কী ভালো স্যাক্সেস বাজাতেন! এক জীবনে একবারই এমন শিল্পীর দেখা মেলে। আমার মনে আছে, হামবুর্গের স্টার ক্লাবে তিনি গাইতেন। গান শুরুর আগে স্টেজের পেছনে বাইবেল পড়তেন। আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনতাম। বিটলসের ম্যানেজার ব্রায়ান এপসটেইন তাঁকে গাইতে এনেছিলেন। আমরা বিটলসের সদস্যরা রিচার্ডের সাজঘরে গিয়ে বসে থাকতাম। আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করতাম।

সেই সময় রিচার্ড যে আমাদের কত খাইয়েছেন। পল ম্যাককার্টনি তো বলত, “ও রিচার্ড, আমি আপনার মতো হতে চাই। আমি আপনাকে একবার স্পর্শ করতে চাই।” ১৯৬৪ সালে আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রে গেলাম, আমাদের আইডল ছিলেন চাঙ্ক বেরি, বো ডিডলে আর অবশ্যই লিটল রিচার্ড। তিনি আমাদের অনেকটা পথ দেখিয়েছেন। সৃষ্টিকর্তা লিটল রিচার্ডকে সুখে রাখুন। তিনি ছিলেন আমাদের প্রত্যেকের জীবনের হিরোদের একজন।'