মার্টিন কুয়ারলির শৈশব ও বর্তমান অবস্থা
মার্টিন কুয়ারলির শৈশব ও বর্তমান অবস্থা

রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন হলিউডের জনপ্রিয় সেই শিশুশিল্পী

‘নেডস ডিক্লাসিফায়েড স্কুল সারভাইভাল গাইড’ সিরিজে মার্টিন কুয়ারলি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পান টাইলর চেজ। এরপর কয়েকটি সিরিজে দেখা গেলেও, হঠাৎ করেই যেন হারিয়ে যান। সেই শিশুশিল্পী আবারও আলোচনায়। তবে এবার তাঁর শৈশবের তারকাখ্যাতির জন্য নয়; সম্প্রতি তাঁকে গৃহহীন অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার রিভারসাইড এলাকার রাস্তায় থাকতে দেখা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হলে ভক্তদের মধ্যে বিস্ময় ও উদ্বেগ তৈরি হয়। এরপর টাইলর চেজের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভাইরাল ভিডিও নিয়ে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে রিভারসাইড পুলিশ বিভাগ।

শিশুশিল্পী থেকে রাস্তায়
‘নেড’স ডিক্লাসিফায়েড’-এ সাফল্যের পর টাইলর চেজ আরও কয়েকটি সিরিজে অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে হলিউডে আড়ালে চলে যান। ২০১৫ সালে তিনি জানান, তিনি বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার (বিপিডি)-এ ভুগছেন। এরপর দীর্ঘদিন জনসমক্ষে ছিলেন না তিনি।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ্যে আসেন টাইলর চেজ। তখন তাঁকে জীর্ণ পোশাকে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়—এমন ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
সাম্প্রতিক আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কেউ তাঁর অভিনয়জীবনের কথা জিজ্ঞেস করলে চেজ নিজের পরিচয় দেন—‘আমি “নেডস ডিক্লাসিফায়েড স্কুল সারভাইভাল গাইড”-এর সেই বিখ্যাত শিশুশিল্পী।’

পুলিশের বক্তব্য
রিভারসাইড পুলিশের মুখপাত্র রায়ান রেইলসব্যাক ডেইলি মেইলকে জানান, ঠিক কত দিন ধরে টাইলর চেজ রাস্তায় আছেন, তা পুলিশ নিশ্চিতভাবে জানে না। তবে কর্মকর্তারা নিয়মিত—প্রায় প্রতি সপ্তাহে—তাঁর খোঁজ নেন এবং জানান, এ সময় চেজ সব সময় ভদ্র ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করেন।
রেইলসব্যাক বলেন, ‘আমাদের বিভাগ তাঁকে আশ্রয়কেন্দ্র ও চিকিৎসাসেবার সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু তিনি বারবার এসব সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও আমাদের জানা নেই।’

ভাইরাল ভিডিও নিয়ে প্রতিক্রিয়া
টিএমজেডকে দেওয়া সূত্র জানায়, রাস্তায় থাকার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে—এ কথা জেনেও টাইলর চেজকে খুব একটা বিচলিত মনে হয়নি। ভাইরাল হওয়ার পর তাঁর নামে তহবিল সংগ্রহের ওয়েবসাইট ‘গো ফান্ড মি’–তে পেজ খোলা হয়, যেখানে কিছু অর্থও সংগ্রহ হয়। তবে চেজের মা জানিয়েছেন, অর্থ নয়—তাঁর ছেলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন চিকিৎসা।

চেজের মা বলেন, ‘টাইলরের টাকা দরকার নেই, তার দরকার চিকিৎসা। সবার উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা, কিন্তু শুধু টাকা দিয়ে তার সমস্যার সমাধান হবে না। আমি আগেও তাকে ফোন দিয়েছি, কিন্তু সে তা দ্রুত হারিয়ে ফেলে। নিজের ওষুধের জন্য অর্থ ব্যবস্থাপনাও সে একা করতে পারে না।’


গালফ নিউজ অবলম্বনে