তমা্ মির্জা
তমা্ মির্জা

থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে তমা, দেখুন নতুন ১৬টি ছবি

‘দাগি’তে অভিনয় করে দর্শকমনে দাগ কেটেছেন তমা মির্জা। এরপর নতুন ছবিতে অভিনয়ের কথা থাকলেও এখনো চূড়ান্তভাবে কিছুই জানাননি। এর মধ্যে জানা গেল, ব্যাংককে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠান সরাসরি উপভোগ করেছেন তিনি। এখন ঘোরাঘুরি করছেন। ১৬ স্থিরচিত্রে দেখে নেওয়া যাক, ব্যাংককে তমার ঘোরাঘুরি
সময়ের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী এখন আছেন ব্যাংককে। জানা গেছে, ঘোরাঘুরি করতেই তাঁর এবার সেখানে যাওয়া। তবে এক ঢিলে দুই পাখি শিকার—প্রবাদটাও তমার ক্ষেত্রে ঘটেছে। ঘোরাঘুরির ফাঁকে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বে সশরীর হাজির হন তিনি।
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে সশরীর উপস্থিত থেকে মুগ্ধ হয়েছেন তমা। সেই অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন নিজের ফেসবুকেও। তমা লিখেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স সরাসরি উপভোগ ছিল একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা। দারুণ সব মানুষে ভরা ছিল আয়োজনটি। আর পুরো অনুষ্ঠানটি আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
জানা গেছে, ১৬ নভেম্বর ব্যাংককে ঘুরতে গেছেন চিত্রনায়িকা তমা মির্জা। ১১ দিনের এই ট্যুর শেষে ঢাকায় ফিরবেন তিনি।
ঘোরাঘুরি প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ‘অভিনয়জীবন খুবই ব্যস্ততায় কাটে, এটা মানসিক চাপেরও। তাই কাজের পর একটু বিরতি নিয়ে ভ্রমণে গেলে মনটা রিফ্রেশ হয়, নতুন এনার্জি আসে। ভ্রমণ আমাকে আবার কাজে ফিরে যেতে অনুপ্রাণিত করে। তাই আমি মনে করি, নিজের জন্য সময় নেওয়া—এটাই অভিনেত্রী হিসেবে সবচেয়ে বেশি দরকার।’
তমা জানালেন, এর আগেও তিনি একাধিকবার ব্যাংককে গেছেন। তবে এবার তিনি এমন সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করছেন, যেখানে আগে যাওয়া হয়নি। সুন্দর সব জায়গায় ঘুরছেন।
থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ঘোরাঘুরি করছেন। বললেন, ‘নতুন একটা অভিজ্ঞতা নিচ্ছি। সবকিছু মিলিয়ে ভালোই কাটছে সময়।’
নাচ দিয়ে শুরু হলেও তমা মির্জা এখন পুরোপুরি চলচ্চিত্রের মানুষ। সমালোচকদের প্রশংসার পাশাপাশি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। গত কয়েক বছরে যে কয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন, প্রতিটির চরিত্রই ছিল ভিন্ন। সর্বশেষ ‘দাগি’ সিনেমায় তাঁর অভিনয়ও আলোচিত হয়েছে। এরপর একাধিক নতুন সিনেমা ও ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের গুঞ্জন শোনা গেলেও কোনোটিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
নতুন কোনো কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তমা বলেন, ‘এখনই কিছু বলতে চাই না। একাধিক ছবির বিষয়ে কথা হয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকদের সঙ্গে একাধিকবার আলাপ হয়েছে। কোন ছবির কাজ আগে শুরু করব, এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে এটুকু বলতে পারি, যা হবে, হয়তো দারুণ কিছুই হবে।’
তমার ভাষায়, ‘দাগি’ ও ‘আমলনামা’ তাঁর ক্যারিয়ারে বিশেষ মাত্রা যুক্ত করেছে, ‘দুটি ছবির গল্প ও চরিত্র একেবারে আলাদা। একজন অভিনেত্রী হিসেবে এ ধরনের ভিন্নতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দর্শকও চান অভিনয়শিল্পীকে বিভিন্ন রূপে দেখতে। এতে তাঁদের আগ্রহ তৈরি হয়, পরবর্তী কাজের জন্য অপেক্ষা করেন।’
চার বছর আগে প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সংসারজীবনের ইতি টানেন তমা মির্জা। ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’তে নিজেকে ভেঙে নতুন করে তৈরি করেন তমা। এরপর ‘৭ নাম্বার ফ্লোর’ দিয়ে আবারও জ্বলে ওঠেন।
সময় যত যাচ্ছে, ততই যেন তাঁর অভিনয়ে নতুন আলো ফুটছে। অনেকের মতে, ‘ফ্রাইডে’, ‘খাঁচার ভেতর অচিন পাখি’, ‘সুড়ঙ্গ’, আমলনামা’ ও ‘দাগি’—এই কয়েকটি কাজেই নিজেকে প্রমাণ করেছেন তমা, পেয়েছেন দর্শকের ভালোবাসা।
ওপার বাংলার পরিচালক অঞ্জন দত্তর পরিচালনায় ‘দুই বন্ধু’ নামের একটি সিরিজেও কাজ করেছেন।
তবে এ মুহূর্তে কোনো শুটিং নেই। নতুন গল্প শোনা, সিনেমা দেখা আর নিজেকে সময় দেওয়ার মধ্যেই কেটে যাচ্ছে দিন। তমা বললেন, ‘সিনেমা দেখতে খুব ভালোবাসি। সব ধরনের সিনেমাই দেখি—নতুন, পুরোনো, দেশি, বিদেশি।’
যখন অভিনয়ের বাইরে থাকেন, নিজেকে সময় দেন তমা। পরিবারকে সময় দেন। গান শোনেন, বই পড়েন, রান্না করেন।
তমার কাছে রান্নাও একটি শিল্প। বললেন, ‘রান্না করতে ভালোবাসি। গরুর মাংস, মুরগি, হাঁস, খাসি—সব মাংসের কারি আমার হাতে ভালো হয়, সবাই মজা করে খায়। রান্না করে খাওয়াতে ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি ট্রাই করি। এটা আমার জন্য আনন্দের কাজ।’
তবে রান্নার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন একা থাকা। তমা বলেন, ‘এক কাপ চা হাতে নিয়ে ঘরের ভেতরে হেঁটে বেড়াই। ভাবি, জীবনে কী ভুল করেছি, কেন করেছি। কীভাবে শোধরানো যেত। এখনো কি কিছু ভুল করছি? ভবিষ্যতে ভুল যাতে না হয়, তার পরিকল্পনা করি। এই একাকিত্বই আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।’