
ঢাকা শহরে হঠাৎ অপরাধ বাড়ছে। সবাই মনে করছে, শহরে ফিরে এসেছে পুরোনো আতঙ্ক—ডন ইউসুফ। অথচ পাঁচ বছর আগে শনাক্ত হয়েছিল তাঁর লাশও। তবে কি ইউসুফ আসলেই মরেননি? নাকি নতুন কোনো ত্রাস দখল নিচ্ছে শহরের অন্ধকার গলি? এ রহস্য নিয়েই এগিয়েছে সঞ্জয় সমাদ্দার পরিচালিত সিনেমা ‘ইনসাফ’। গত কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে আলোচনায় ছিল ছবিটি। এবার প্রথমবারের মতো আসছে ওটিটিতে। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে চরকির পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘ইনসাফ’।
চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দর্শকদের অনেকেই কমেন্ট করে জানিয়েছিলেন ‘ইনসাফ’ দেখার আগ্রহ। চরকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দর্শকদের আগ্রহের কথা বিবেচনায় রেখেই ‘ইনসাফ’ মুক্তি দিচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। তারা আশা করছে, দেশ–বিদেশের দর্শকেরা সিনেমাটি উপভোগ করবেন।
সঞ্জয় সমাদ্দার পরিচালিত ‘ইনসাফ’ সিনেমায় ইউসুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ। ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই সন্ত্রাসীকে নিয়ে সবাই যখন আতঙ্কে, তখন তাঁকে নিয়ে কাজ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চৌকস অফিসার জাহান খান। চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।
‘ইনসাফ’ সিনেমায় ইউসুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ। ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই সন্ত্রাসীকে নিয়ে সবাই যখন আতঙ্কে, তখন তাঁকে নিয়ে কাজ শুরু করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চৌকস অফিসার জাহান খান। চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ।
বড় পর্দা থেকে ওটিটিতে
মুক্তির আগে থেকেই সিনেমাটি আলোচনায় ছিল চরিত্রভিত্তিক পোস্টার নিয়ে। প্রথম পোস্টারে দেখা গিয়েছিল শরীফুল রাজকে—রক্তাক্ত কুড়াল হাতে, মুখে রহস্যময় মুচকি হাসি। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ইনসাফ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি জীবনবোধ।’ এরপর এল মোশাররফ করিমের পোস্টার, ‘এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ।’ আর তাসনিয়া ফারিণকে দেখা গেল এক হাতে রক্তাক্ত কুড়াল, অন্য হাতে গোলাপ—চরিত্রের নাম ‘জাহান’।
এ সিনেমার টিজারেই ছিল চমক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাড়া ফেলেছিল। শুরুতে ভয়েস ওভারেই শুরু রহস্য—অপরাধের হঠাৎ উত্থান, ইউসুফ কি ফিরে এসেছেন? এই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে এএসপি জাহান খান (তাসনিয়া ফারিণ)। সিলেটে গিয়ে তিনি মেলে ধরেন লাবু মাস্টারের খোঁজ, যিনি দেখতে একেবারে ইউসুফের মতো। কিন্তু লাবু মাস্টার নিজেকে প্রমাণ করেন নিছকই একজন সাধারণ আর্ট শিক্ষক। তবু অপরাধ চক্র তাকে ছাড়ে না। পুলিশ অফিসার জাহানের একটি ভুল কি লাবু মাস্টারের জীবন বিপন্ন করে দেবে? নাকি ঘটনার মোড় ঘুরে যাবে অন্যদিকে? এমন প্রশ্ন সামনে আনে।
চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দর্শকদের অনেকেই কমেন্ট করে জানিয়েছিলেন ‘ইনসাফ’ দেখার আগ্রহ। চরকি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দর্শকদের আগ্রহের কথা বিবেচনায় রেখেই ‘ইনসাফ’ মুক্তি দিচ্ছে প্ল্যাটফর্মটি। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ১ মিনিটে চরকির পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে ‘ইনসাফ’।
পরে গত কোরবানির ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইনসাফ’। সিনেমাটি দেখে দর্শকেরা জানিয়েছিলেন তাঁদের ভালো লাগার কথা। রাজ ও ফারিণকে দেখে অবাকই হয়েছিলেন তাঁরা। এক দর্শক বলেছিলেন, ‘আমি খুব সারপ্রাইজড ফারিণকে দেখে, তাকে স্ক্রিনে অনেক সুন্দর লেগেছে আর সে খুব ট্যালেন্টেড অ্যাকট্রেস।’ আরেক দর্শকের মতে, ফারিণের আরও আগে থেকেই সিনেমায় নিয়মিত হওয়া দরকার ছিল। এক নারী দর্শকের মতে, সিনেমায় ‘হট এবং সুইট’–এর মিশেলে ফারিণ ছিলেন অনবদ্য। ‘এতটা জোশ হবে আমি ভাবতে পারি নাই’, ‘যা ভাবছিলাম তার চেয়ে বেটার’, আমি সবাইকে রিকমেন্ড করব সিনেমাটি দেখার জন্য’, ‘শরীফুল রাজের গেটআপ, চাহনি তার চরিত্রের সঙ্গে একদম মানিয়ে গেছে’। সিনেমা দেখার পর দর্শকেরা এভাবে তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমে।
মুক্তির আগে থেকেই সিনেমাটি আলোচনায় ছিল চরিত্রভিত্তিক পোস্টার নিয়ে। প্রথম পোস্টারে দেখা গিয়েছিল শরীফুল রাজকে—রক্তাক্ত কুড়াল হাতে, মুখে রহস্যময় মুচকি হাসি। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘ইনসাফ শুধু একটি শব্দ নয়, এটি একটি জীবনবোধ।’ এরপর এল মোশাররফ করিমের পোস্টার, ‘এই ডাক্তার রোগ নয়, পাপ সারায়! রক্তই তার ভাষা, ইনসাফই তার শপথ।’ আর তাসনিয়া ফারিণকে দেখা গেল এক হাতে রক্তাক্ত কুড়াল, অন্য হাতে গোলাপ—চরিত্রের নাম ‘জাহান’।
সিনেমাটিতে অনেকগুলো চমক রেখেছেন নির্মাতা। একদম ভিন্ন লুকে তিনি হাজির করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। চমকটা শুধু লুকেই সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি, চরিত্রটির মাধ্যমে তুলে এনেছেন চিকিৎসাসেবার সিন্ডিকেশনের কথা। সিনেমায় মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন একজন চিকিৎসকের চরিত্রে। নির্মাতার দাবি, মেডিকেল সিন্ডিকেশনের ব্যাপারটি সিনেমার ভাষা এবং দৃশ্যায়নে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
অনেক চমক আছে সিনেমায়, অতিথি চরিত্রে আছেন চঞ্চল চৌধুরী। তাঁর উপস্থিতিও চমকে দিয়েছে দর্শকদের। ‘আকাশেতে লক্ষ তারা’ গানটি নতুনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সিনেমায়। সংগীতশিল্পী–অভিনেত্রী জেফারও আছেন ‘ইনসাফ’–এ। সংগীতশিল্পী হয়ে তিনি হাজির হয়েছেন তিনি।
জমজমাট অ্যাকশন ঘরানার সিনেমাটি চরকিতে মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত নির্মাতা, কলাকুশলীরা। নির্মাতা সঞ্জয় সমাদ্দার বলেন, ‘সিনেমাটি যেন বেশি মানুষের কাছে পৌঁছায়, নির্মাতা হিসেবে সেটাই আমার চাওয়া। “ইনসাফ” চরকিতে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যমে সবার হাতের মুঠোয় চলে যাবে সিনেমাটি। দেশের বাইরের দর্শকেরাও সিনেমাটি দেখতে পারবেন। এটা সত্যি আনন্দের। প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর “ইনসাফ”–এর কথা মুখে মুখে ছড়িয়েছিল, আশা করব ওটিটিতে মুক্তির পরও এটা হবে। সিনেমাটি নিয়ে সবাই কথা বলবেন, লিখবেন, সেই প্রত্যাশা করছি।’
সিনেমাটিতে অনেকগুলো চমক রেখেছেন নির্মাতা। একদম ভিন্ন লুকে তিনি হাজির করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। চমকটা শুধু লুকেই সীমাবদ্ধ রাখেননি তিনি, চরিত্রটির মাধ্যমে তুলে এনেছেন চিকিৎসাসেবার সিন্ডিকেশনের কথা। সিনেমায় মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন একজন চিকিৎসকের চরিত্রে।
ফারিণের নতুন অধ্যায়
ওয়েব সিরিজ, নাটক আর ওয়েব ফিল্মের পর এবারই প্রথম মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায় নায়িকা হিসেবে হাজির হলেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘আরও এক পৃথিবী’ দিয়ে কলকাতায় অভিষেক হয়েছিল তাঁর, যে ছবির জন্য তিনি পুরস্কৃতও হয়েছিলেন। এবার দেশের দর্শকের সামনে অন্য এক রূপে এলেন তিনি। তাঁর অভিনীত সম্পূর্ণ বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাটি দেখার আগ্রহ অনেকের। তাসনিয়া ফারিণ বলেন, ‘চরকিতে “ইনসাফ” আসার কারণে দেশের বাইরের দর্শকেরা সিনেমাটি দেখতে পারবেন, এটা আমার কাছে আনন্দের। কারণ, অনেকেই সিনেমাটি দেখার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন। তাঁরা তো দেখবেনই, যাঁরা আবার দেখতে চান, তাঁরাও পারবেন।’
ভিন্নধর্মী অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে ফারিণকে। এমনকি অ্যাকশন দৃশ্যে করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আহতও হয়েছেন তিনি।
ভিন্নধর্মী অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এমনকি অ্যাকশন দৃশ্যে করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আহতও হয়েছেন তিনি। এর আগে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে ফারিণ বলেন, ‘আমি যখন অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে যাই, তখন ফিজিক্যাল ও মেন্টাল ট্রেনিং করতে হয়েছে। ফাইট ডিরেক্টরদের কাছ থেকে ধারণা নিতে হয়েছে। ক্যামেরার সামনে অ্যাকশন পারফর্ম করা একেবারেই আলাদা অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে, এই দৃশ্যগুলো করতে গিয়ে আমি একাধিকবার আঘাত পেয়েছি। আমি সিনেমায় কাজ করে একটা বড় চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম।’
রাজের ধারাবাহিক সাফল্য
র্যাম্প মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসা শরীফুল রাজ ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’, ‘দামাল’ কিংবা ‘ওমর’-এর মতো ছবিতে আলোচনায় ছিলেন। এবার ‘ইনসাফে’ও তাঁকে পাওয়া গেল একেবারে নতুন লুকে। পরিচালকের ভাষ্যে, রাজের অভিনয় ও উপস্থিতি ছবিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
শুটিংয়ের সময়ের কথা মনে করে শরীফুল রাজ বলেন, ‘আমরা দারুণ একটা ইউনিটের সঙ্গে কাজ করেছি। সঞ্জয় সমাদ্দারের সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। তিনি অসাধারণ মানুষ ও নির্মাতা। আর ফারিণের কথা কী বলব। সিনেমাটিতে তার কাজে আমার মতো দর্শকেরাও মুগ্ধ হয়েছেন। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকেরা সিনেমাটি পছন্দ করেছেন, আশা করছি ওটিটির দর্শকেরাও এটি পছন্দ করবেন।’
ডন, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু অভিনয় করেছেন সিনেমাটিতে। নাজিম উদ দৌলা ও সঞ্জয় সমাদ্দারের গল্পে এর চিত্রনাট্য করেছে নাজিম উদ দৌলা, স্বরূপ দে, সঞ্জয় সমাদ্দার। সংলাপ লিখেছেন নাজিম উদ দৌলা, স্বরূপ দে, সঞ্জয় সমাদ্দার। তিতাস কথাচিত্র ও টিওটি ফিল্মসের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন আবুল কালাম।
ডন, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু অভিনয় করেছেন সিনেমাটিতে। নাজিম উদ দৌলা ও সঞ্জয় সমাদ্দারের গল্পে এর চিত্রনাট্য করেছে নাজিম উদ দৌলা, স্বরূপ দে, সঞ্জয় সমাদ্দার।