সত‍্যিকার অর্থে তাঁকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না,সন্দেহ আছে...

ফেসবুকে তারকারা বেশির ভাগ সময়ই সরব থাকেন। প্রকাশ করেন তাঁদের কাজের খবরসহ নানা রকম ব্যস্ততার কথা। কখনো সেগুলোই বৈচিত্র্য হয়ে ধরা দেয় ভক্তদের কাছে। একনজরে দেখে নিতে পারেন ফেসবুকের পাতা থেকে তারকাদের মনের কথা।
জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ তাঁর জাদুর ক্যারিশমায় সবাইকে বিস্মিত করেন। উপস্থিত অতিথি ও দর্শকের সামনে অবিশ্বাস্য সব ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। সবার মধ্যে আনন্দ ছড়ান। হতবাকও করেন। দেশের প্রখ্যাত এই জাদুশিল্পী আজ কিংবদন্তি সেতারসাধক পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে তোলা এই স্থিরচিত্র ফেসবুকে শেয়ার করে লিখলেন, ‘বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু, সেতারসম্রাট পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে।’ ছবিতে আছেন জুয়েল আইচের স্ত্রী বিপাশা আইচও।
অভিনয়শিল্পী গোলাম ফরিদা ছন্দা লিখেছেন, ‘কাছেই লুকিয়ে থাকে সুখ, আমরা দূরে খুঁজি!’
চিরকুট ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য শারমীন সুলতানা শাড়ি পরিহিত কয়েকটি স্থিরচিত্র পোস্ট করে লিখেছেন, ‘প্রিয় শাড়ি পইরা ঢং-মং করা অনেক দিন পর ছবি তুললাম। কিছু মনে কইরেন না।’
কোক স্টুডিও বাংলার তৃতীয় মৌসুমের পঞ্চম গান ‘লং ডিসট্যান্স লাভ’ গেয়েছেন উদীয়মান তারকা অংকন কুমার ও শেখ মুমতাহিনা গানটিতে সুর দিয়েছেন শুভেন্দু দাস। অংকন ও কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি গায়িকা-গীতিকার প্রগতা নাওহা মিলে লিখেছেন গানের কথা। অভিনয়শিল্পী তাহমিনা সুলতানা মৌ নিজের এই স্থিরচিত্র ফেসবুকে পোস্ট করে গানের এই লাইনগুলো ক্যাপশনে জুড়ে দিয়েছেন, ‘আমি একা হয়ে বসে আছি, বিরহিত মনের সূক্ষ্ম হাসি, আমি...শুধু চেয়েছি তোমাকে শুরু থেকে, জানি আসবে না তো আজ।’
২৯ বছর আগে মারা যান সালমান শাহ। এই মৃত্যু নিয়ে জটিলতা এখনো শেষ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা, এ নিয়ে বিতর্ক চললেও সম্প্রতি আদালত সালমান শাহর মৃত্যুকে আদালত হত্যা মামলা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ঢাকা শহরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দিয়েছেন। মামলাটি রমনা থানায় তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে সমসাময়িক শিল্পীরাসহ অনেকে কথা বলছেন। নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী প্রসূন আজাদ এ নিয়ে তাঁর একটি মতামত ফেসবুকে পোস্ট আকারে দিয়েছেন। একটি কোলাজ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আমার ধারণা, সালমান প্রচণ্ড হতাশায় ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সত‍্যিকার অর্থে তাকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কি না, আমার সন্দেহ আছে। কারণ, স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না। তার মা কিংবা স্ত্রী কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কি না...সন্দেহ। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়...যারা অভিমানী।’