Thank you for trying Sticky AMP!!

সর্বোচ্চ নম্বর ইমন সাহার

ইমন সাহা

যুক্তরাষ্ট্রে সংগীতে চার বছর মেয়াদি স্নাতক সম্পন্ন করেছেন সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। সেখানে চূড়ান্ত প্রকল্পে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, ভূষিত হয়েছেন অ্যাডভান্সড অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডে। গতকাল বুধবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইমন সাহা এই অর্জনের খবর জানান। চার বছরের পরিশ্রম শেষে এই অর্জনে ভীষণ আনন্দিত সাতবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত পরিচালক।

সংগীতে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ফুল সেইল ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন মিউজিক প্রোডাকশন বিষয়ে ইমন সাহা বৃত্তির জন্য আবেদন করেছিলেন। অবশেষে সেখানে পড়ার সুযোগ মিলে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইমন সাহাই একমাত্র বাংলাদেশি। স্নাতকের শেষ বছরে চূড়ান্ত প্রকল্প হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আবহ সংগীত করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন তিনি।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ইমন সাহাই একমাত্র বাংলাদেশি। স্নাতকের শেষ বছরে চূড়ান্ত প্রকল্প হিসেবে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আবহ সংগীত করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন তিনি।

ইমন সাহা জানান, তিন দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ই–মেইল করে এই সুখবর জানান। ইমন বলেন, ‘চার বছর ভয়াবহ পরিশ্রম করেছি। নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রে এসে পড়াশোনা, বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হয়েছে। এখানে কাজের লোক নেই; ড্রাইভ করা, বাজার করা, পার্ট–টাইম জব—সবই আমাকে করতে হয়েছে। দুই সন্তানের পড়াশোনা দেখভালের পাশাপাশি নিজের পড়ালেখা করতে হয়েছে। আশাই করিনি ফাইনাল প্রজেক্টে সর্বোচ্চ নম্বর পাব!’

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার হাতে ইমন সাহা

সংগীত পরিচালক ইমন সাহা কয়েক বছর ধরে সপরিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় থাকেন। দুই ছেলেকে সেখানকার স্কুলে ভর্তি করিয়েছেন। তবে পুরো পরিবার সেখানে নিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, ‘আমার সন্তানেরা বড় হচ্ছে, ভাবলাম তাদের পড়াশোনা এখানেই হোক। আমার নিজেরও সংগীতের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার ইচ্ছা ছিল। মিউজিক প্রোডাকশনের ওপর উচ্চশিক্ষা শেষ হয়েছে। সামনে চলচ্চিত্রের আবহ সংগীতের ওপর স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার ইচ্ছা আছে। মিউজিক থেরাপির ওপরও পড়ালেখা করতে চাই আমি।’

বাংলাদেশে সংগীত পরিচালনায় পরিচিত নাম ইমন সাহা। সংগীত নিয়ে আরও জানার আগ্রহ থেকে মিউজিক প্রোডাকশনের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। চার বছরে সংগীতের নানা দিক শিখেছেন বলে জানালেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনই ক্লাসে নতুন কিছু শিখেছি। মনে হয়েছে, কত কিছু অজানা ছিল। এই সময়ের নতুন ধারা মিনিমালিস্ট মিউজিক সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা ছিল না। এখানে এসে এই ধারা সম্পর্কে জেনেছি। আমার চূড়ান্ত প্রকল্পে এই ধারা প্রয়োগ করেছি। সফলতাও পেয়েছি।’

দেশে–বিদেশে দুই জায়গায়ই নিয়মিত গান করার ইচ্ছা ইমন সাহার। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সংগীতে পড়ছি, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। হলিউডের তিন-চারটি প্রকল্পের ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে আলাপ হয়েছে। দেখি, কত দূর এগোতে পারি। হলিউড অনেক বড় বাজার, এখানে ঢোকা অসম্ভব কিছু না, তবে কষ্টসাধ্য।’