অনুষ্ঠানে গাইছেন বাপ্পা মজুমদার
অনুষ্ঠানে গাইছেন বাপ্পা মজুমদার

বাপ্পার গানে গানে মনে রাখার মতো সন্ধ্যা

ঘরোয়া আয়োজন, দারুণ সাউন্ড সিস্টেম সঙ্গে বাপ্পা মজুমদারের গান; সন্ধ্যা জমে উঠতে আর কী চাই। এদিন হয়েছিলও তা–ই। ঠিক আটটায় মঞ্চে ওঠেন বাপ্পা। এরপর টানা দুই ঘণ্টা মুগ্ধ করে রাখেন সুরের মায়াজালে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ইয়ামাহা মিউজিক লাউঞ্জে ‘ইয়ামাহা ওয়ান ট্রু সাউন্ড: বাপ্পা মজুমদার ভলিউম ২’ আয়োজনে গান শোনান বাপ্পা। ‘কখনো ইচ্ছে হয়’-এর পর একে একে গেয়ে শোনান আরও ১৩টি গান।

প্রথম গানের পরেই একটু বিরতি। এদিন কেবল বাপ্পার গানই ছিল না, ছিল তাঁর অ্যালবামের প্রকাশের আয়োজনও। ‘ভার্টিক্যাল হরাইজন; সেই সময় এই সময়’ অ্যালবামে মোট ১২টি অ্যালবামের সিডি প্রকাশ করেন গায়ক। সিডি! ঠিকই শুনেছেন। গানের ফাঁকে সিডি কেন প্রকাশ করলেন সে কথা বলতে গিয়ে নস্টালজিয়ায় ডুব দেন বাপ্পা।

অনুষ্ঠানে গাইছেন বাপ্পা মজুমদার

‘আমার মনে সিডি শ্রোতাদের সঙ্গে একধরনের মনস্তাত্ত্বিক যোগাযোগ তৈরি করে। সেই ভাবনা থেকেই সিডি করা। আমি জানি না, সিডি নিয়ে কোথায় শুনবেন। যদি সুযোগ থাকে শুনলে আপনারা সেই আগের অনুভূতি পাবেন,’ বলেন বাপ্পা।

এদিনের আয়োজনের সবচেয়ে বড় দিক ছিল শ্রোতাদের সঙ্গে শিল্পীর সরাসরি যোগাযোগ। একটা গান শেষ করার পরই দর্শকসারি থেকে একটার পর একটা অনুরোধ আসছিল। বাপ্পাও খুশি মনে গেয়ে যাচ্ছিলেন।

অনুষ্ঠানে গাইছেন বাপ্পা মজুমদার

তিনি লাইন ধরেন তো শ্রোতারা পরের লাইন। এভাবেই ‘আজ তোমার মন খারাপ মেয়ে’, ‘জলের দামে’, ‘জোছনা বিহার’, ‘মন ছুঁয়েছ’, ‘দিন বাড়ি য়ায়’, ‘তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম’ গানগুলো। সংক্ষিপ্ত বিরতি নিয়ে আবারও গেয়ে শোনান ‘বাজি’, ‘ধুলো পড়া চিঠি’র মতো আলোচিত গান।

বাপ্পা যখন মঞ্চে, তাঁর দলছুট ব্যান্ডের সঙ্গী প্রয়াত সঞ্জীব চৌধুরীর কথা আসবেই। এদিন সঞ্জীব স্মরণে বাপ্পা গেয়ে শোনান ‘আমি তোমাকেই বলে দেব’, ‘আমাকে অন্ধ করে’ গানগুলো। এ ছাড়া এদিন তিনি শ্রোতাদের অনুরোধে লাকী আখান্দ্‌র ‘এই নীল মনিহার’, ‘আগে যদি জানতাম’ গেয়ে শোনান।

বাপ্পা অনুষ্ঠান শেষ করেন ‘বায়োস্কোপ’ দিয়ে। দর্শক আসনে বসে থাকা সবাই যে তখন তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন, বলাই বাহুল্য। টিকিট কেটে অনুষ্ঠানে আসার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ‘শিল্পী হিসেবে এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া,’ বলেন বাপ্পা।
রাত ১০টায় অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে বটে, কিন্তু ফিরতি পথে সুরের রেশটুকু সঙ্গেই ছিল।