নকীব খান স্কুলছাত্র থাকা অবস্থায় ব্যান্ডের পথে যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের অন্যতম এই শিল্পী প্রথমে চট্টগ্রামের স্থানীয় ব্যান্ড ‘বালার্ক’, পরবর্তীকালে ‘সুরেলা’ থেকে যোগ দেন ‘সোলস’-এ। প্রায় দশ বছর ছিলেন ঐতিহ্যবাহী এই ব্যান্ডে। সোলসের ‘মুখরিত জীবনের চলার পথে’, ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের সুরকার তিনি।
একপর্যায়ে সোলস ছেড়ে ঢাকায় এসে ’৮৫ সালে গঠন করেন ব্যান্ড ‘রেনেসাঁ’। শুরু হয় আরেক সাফল্যযাত্রা।
রেনেসাঁর প্রধান ভোকালিস্ট, কি-বোর্ডিস্ট, সুরকার ও কম্পোজার হিসেবে কাজ করছেন তিনি। উপহার দেন ‘ভালো লাগে জোছনা রাতে’, ‘আচ্ছা কেন মানুষগুলো এমন হয়ে যায়’, ‘হৃদয়! কাদামাটির কোনো মূর্তি নয়’, ‘ও নদী রে, তুই যাস কোথায় রে’, ‘আজ যে শিশু’র মতো অনেক জনপ্রিয় গান।
ব্যান্ড সংগীতের এই দীর্ঘ যাত্রায় নব্বই দশককে বিশেষভাবে মূল্যায়ন করেন নকীব খান। তাঁর ভাষায়, ‘নব্বই দশক ছিল আমাদের ব্যান্ড সংগীতের স্বর্ণালি সময়।’
সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশনের ‘নাইনটিজ মিউজিক স্টোরি’ অনুষ্ঠানে এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি। নব্বইয়ে ব্যান্ড সংগীতের জাগরণের গল্প বলার পাশাপাশি নিজের ব্যান্ড ক্যারিয়ার, সোলসের দিনগুলো, রেনেসাঁ গঠন, জনপ্রিয় গানগুলো সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরেন।
জানান অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রথম গানের সুর করেন তিনি। আরও অনেক স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়েন। অকালে হারানো ব্যান্ড শিল্পীদের কথা বলতে গিয়ে বিষণ্ন হন।
রিয়াদ শিমুলের গ্রন্থনা ও এস এম হুমায়ুন কবিরের প্রযোজনায় অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে শনিবার রাত ১২টায়।