১৪ নভেম্বর মুক্তি পাচ্ছে কলকাতার সিনেমা ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পায়েল সরকার।
৫টি কিংবা ১০টি নয়, ৫৪টি দৃশ্য বদলের পর সিনেমাটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দিয়েছে সার্টিফেকেশন বোর্ড। সাম্প্রতিককালে এতগুলো দৃশ্য বদলের পরও ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ পাওয়ার ঘটনা কলকাতার সিনেমায় দেখা যায়নি।
গতকাল কলকাতায় সিনেমাটির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। সিনেমাটি নিয়ে সেই আয়োজনে পায়েল বলেন, ‘ইটস আ ভেরি অ্যামাজিং কনসেপ্ট। এ ধরনের পাল্প থ্রিলার এর আগে আমরা বাংলায় দেখিনি। ফলে আমি সিনেমাটির অংশ হতে চেয়েছি।’
ট্রেলার প্রকাশের আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তিনি ট্রেলার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, ছবির কলাকুশলীদের প্রশংসা করেছেন।
ফিল্ম ইনস্টিটিউটের কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে, নিজেদের পুঁজি দিয়ে চার বছর ধরে এই ছবি তৈরি করেছেন পরিচালক জয়ব্রত দাশ। বহুবার বন্ধ হয়ে গেছে ছবির কাজ। আবার ফান্ড জোগাড় করে তা শুরু হয়।
এতে পায়েল সরকার ছাড়াও রুদ্রনীল ঘোষ, সৌরভ দাস, ঋষভ বসু, অনুরাধা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, অমিত সাহা, অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়, অঞ্জন রায় চৌধুরী, রানা বসু ঠাকুরসহ অনেকে অভিনয় করেছেন।
কী আছে সিনেমায়
এক বিরল ও অমূল্য অ্যান্টিক মদের বোতল ঘিরে ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ সিনেমার গল্প এগিয়েছে। কয়েকজন অপরাধী সেই বোতল চুরির পরিকল্পনা করে। এরপরই শুরু হয় প্রতারণা, পরকীয়া, চুরি-ডাকাতি ও বিশ্বাসঘাতকতার টানটান দৌড়।
নির্মাতার দাবি, প্রতিশোধ ও প্রলোভনের খেলার পরতে পরতে উত্তেজনায় ভরা চিত্রনাট্য দর্শককে নিশ্বাস নিতে দেবে না। টলিপাড়ায় গুঞ্জন, বাংলা ছবিতে এ রকম ‘বোল্ড’ ও ‘বিস্ফোরক’ যৌন দৃশ্য আগে খুব একটা দেখা যায়নি। ফলে দর্শকও অপেক্ষায় অন্য ধারার পরীক্ষামূলক সিনেমা দেখতে।
জয়ব্রত দাশের কথায়, এটি একটি পাল্প অ্যাকশন থ্রিলার, পরিচালক কুইন্টিন ট্যারান্টিনোর প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রেরণা। তবে থ্রিলারের সঙ্গে এখানে রয়েছে কমেডির এক ঠিকঠাক মিশেল—বাংলা দর্শকের জন্য একদমই নতুন অভিজ্ঞতা।
তথ্যসূত্র: আজকাল ডট ইন