‘অনেক আগে হিন্দি সিরিয়াল দেখা বন্ধ করেছি’
অভিনয়শিল্পী ও সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফার জন্মদিন ছিল গতকাল। বিকেলে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। জন্মদিন উদ্যাপনের অনুভূতি এবং নাটক ও সিনেমার নানা দিক নিয়ে তাঁর ভাবনার কথা জানান প্রথম আলোকে।
শুভ জন্মদিন।
ধন্যবাদ।
কত বছরে পূর্ণ হলো?
৫৯ শেষ করে ৬০–এ পা দিলাম।
আপনি ৬০ বছর বলছেন। কিন্তু উইকিপিডিয়ার মতে আপনি ৬০ পার করলেন।
উইকিপিডিয়া একটা রাবিশ। আমার জন্ম ১৯৬০–এর ২ ডিসেম্বর। এখনো আমি জীবিত, আমাদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করতে পারে। নিজেদের মতো করে তথ্য দিয়ে দেওয়ার মানে হয় না।
করোনাকালেও সবাইকে দেখলাম ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কেমন লাগছে?
নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে। আমি খুবই কৃতজ্ঞ, সবাই এত কঠিন সময়েও আমার জন্য সময় বের করে শুভকামনা জানাচ্ছেন। সবকিছু মিলিয়ে আমার এবারের জন্মদিন বিশেষ হওয়ার কথা ছিল, তা–ই না? ৬০ বছরের জন্মদিন, কিন্তু এসব মাথায় নেই। সত্যি বলতে, সারা পৃথিবীর যে অবস্থা, সবার একটাই চাওয়া, করোনার ভ্যাকসিন খুব তাড়াতাড়ি যেন আসে।
এত বছর পর পেছনে ফিরে যখন হিসাব–নিকাশ মেলাতে যান, কী দেখেন?
আমি কোনো হিসাব–নিকাশ মেলাই না। আমি তা চাইও না। আমি মনে করি, ওই হিসাব–নিকাশ করা বোকা লোকের কাজ। যেদিন পার হয়ে গেছে, গেছে। আর যেদিনটা সামনে আছে, সেটা আসতে দাও। সময়টা সুস্থভাবে পার করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-১৯ আমাদের তা আরও ভালোভাবে শিখিয়েছে। কোভিড-১৯–এ আমরা শিখেছি, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী না। ২০২০ থেকে আমরা এসব ভালো করে শিখেছি।
জন্মদিন ব্যাপারটা কেমন লাগে?
আমার জীবনে জন্মদিন অনেক দেরিতে এসেছে। লেখাপড়া করার সময় ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা থাকত, সুতরাং ওই সময় জন্মদিন খুব একটা করা হতো না। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে এসে জন্মদিন পালন শুরু হয়।
করোনার সময় কেমন কাটছে?
নিয়মকানুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। ব্যক্তিগত কাজ থাকলে শেষ করছি। আর যখন অধিবেশন থাকে, ওখানে যাই। এখন অন্যভাবে অধিবেশনের ডাক পড়ে। সবাইকে একসঙ্গে ডাকা হয় না। রোস্টার করে ডাকা হয়। সংসদ অনেক নিরাপদ জায়গা। যেদিন অধিবেশন থাকে, তার আগের দিন সবারই কোভিড-১৯ টেস্ট করানো হয়। আট-দশটা মানুষ যেভাবে তাদের সময় পার করছে, আমিও সেভাবে করছি। করোনায় বিশেষ কিছু নেই।
একটা দেশের সিনেমা সে দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং সর্বোপরি দেশটি সম্পর্কে ধারণা দেয়। আমাদের এখনকার চলচ্চিত্রগুলো কি তা পারছে?
আমাদের এখন সিনেমাই হচ্ছে না। সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহ এক শর নিচে নেমে এসেছে। এফডিসিতে সংগঠনের নামে যেসব হচ্ছে, তার সঙ্গে চলচ্চিত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। ক্ষমতার একটা টানাটানি হচ্ছে। এসব নিয়ে অনেক কিছু বলার আছে। অল্প কথায় তা বলা সম্ভব নয়।
ভারতের সব চ্যানেল আমাদের দেশে অবাধে চলছে। কিন্তু এক বিটিভি ছাড়া অন্য কোনো চ্যানেল ভারতে দেখানো হয় না। ব্যাপারটা আপনার কাছে কেমন?
বিষয়টা ভাবা দরকার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। আমার অবশ্য মনে হয়, বিটিভি যেহেতু দেখানো শুরু হয়েছে, অন্য চ্যানেলগুলোও আস্তে আস্তে দেখানো হবে। আমার ব্যক্তিগত মত, কিছু কিছু চ্যানেলের কিছু অনুষ্ঠান বাদ দিতে হবে। এগুলো যদি দেশের বাইরে দেখানো হয়, তাহলে ভয়াবহ ব্যাপার! খুবই নিম্নমানের। তাই ভারতে দেখানোর ক্ষেত্রে বেছে দেখানো উচিত।
আপনি কি ভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখেন?
আমি অনেক আগে হিন্দি সিরিয়াল দেখা বন্ধ করেছি, তারপর বাংলা ভাষার টেলিভিশন চ্যানেলের নাটক ও টেলিছবি দেখা। এখন আমি শুধু সিনেমা দেখি।
হিন্দি চ্যানেলগুলো দেখা বাদ দিলেন কেন?
ও মাই গড। ওদের গল্পগুলো এগোয়ই না। ধরা যাক, খুব সুন্দর একটা গল্প শুরু হলো। তিন মাস পরও যদি দেখি, দেখা যাবে দুই মিনিটের গল্প এগিয়েছে! এত ধৈর্য রাখা যায় না।
ইদানীং কথাটা বেশি শোনা যাচ্ছে, চাইলেই যে কেউ অভিনয়শিল্পী কিংবা প্রযোজক হয়ে উঠছেন?
আমাদের দেশের সবাই সবকিছু করতে পারছেন। লম্বা সময় ধরে চলছে। ক্ষতি যেটা হচ্ছে, ভালো মানের পরিচালকেরা এজেন্সি আর চ্যানেলের দৌরাত্ম্যে কাজ পাচ্ছেন না।
বের হওয়ার উপায় কী?
নাটকের যেসব সংগঠন আছে, সবাইকে মিলে এই সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় বের করতে হবে। এটা সবার জানাও আছে।
আরও পড়ুন
-
ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যে বদল এসেছে
-
আইসিইউর এসি নষ্ট, অস্ত্রোপচারও বন্ধ, কষ্টে রোগীরা
-
দিনাজপুরে ভোট গণনার পর দুই প্রার্থীর সমর্থকদের উত্তেজনা, পুলিশের গুলিতে নিহত ১
-
এবার ‘কিপটে’ মোস্তাফিজের ২ উইকেট, বড় জয়ে শীর্ষ তিনে ফিরল চেন্নাই
-
ঢাকাসহ ৫ জেলা: মাধ্যমিক সোমবার বন্ধ হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলাই থাকছে