Thank you for trying Sticky AMP!!

কেমন আছেন আলোচিত এই তিন তারকা

শ্রাবন্তী, পল্লব ও তিন্নি। ছবি: সংগৃহীত

শোবিজে তাঁরা ছিলেন নিজ নিজ সময়ের প্রতিনিধি। নব্বই দশকের জনপ্রিয় মডেল পল্লব মডেলিং ছেড়ে কী করছেন এখন? অভিনয়ের আলোচিত মুখ তিন্নি এখন কোথায়? ফটোসুন্দরী থেকে দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী হওয়া শ্রাবন্তী এখন কী করেন? এমন সব প্রশ্ন দর্শকের মনে বহু বছর থেকে। সেই প্রশ্নের খানিক উত্তর খুঁজতে যোগাযোগ এই তিন তারকার সঙ্গে। জানালেন এই সময়ে তাঁদের জীবনযাপন সম্পর্কে।

শ্রাবন্তী। ছবি: প্রথম আলো

নাটকের মুখ শ্রাবন্তীর কথা কার না মনে আছে? অথচ একটা দীর্ঘ সময় তিনি নেই ছোট পর্দায়। সেই শ্রাবন্তী পাঁচ বছর ধরে থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। ২০১০ সালে খোরশেদ আলমকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। শ্রাবন্তীর দুই মেয়ে। মায়ের সঙ্গে তারা থাকে নিউইয়র্কে। বড় মেয়ে রাবিয়া আলম থার্ড গ্রেডে আর ছোট মেয়ে আরিশা আলম কিন্ডারগার্টেনে পড়ে। বাবার সঙ্গে প্রতিদিনই তাদের যোগাযোগ হয়। ওয়ালমার্টে চাকরি নিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। এক বছর পর ভালো লাগেনি। মেডিকেল সহকারীর নয় মাসের একটা কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন। এত দিনে ইন্টার্নশিপ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে আটকে গেছে। মেডিকেল সহকারীর কাজটা সেবামূলক বলে কোর্সটা পছন্দ হয়েছিল শ্রাবন্তীর। গত পাঁচ বছরে দুবার বাংলাদেশে এসেছিলেন তিনি। শেষবার এসেছিলেন ২০১৮ সালে।

বাবা ও বড় ভাইয়ের হঠাৎ মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মডেল পল্লব। ছবি: ফেসবুক থেকে

বড় ভাইয়ের হঠাৎ মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মডেল পল্লব। ভাইয়ের মৃত্যুর দুই বছর পর বাবা মারা যান। এরপর একেবারে ভেঙে পড়েন তিনি। এরই মধ্যে ভেঙে যায় ১০ বছরের প্রেমও। আর বিয়ে করেননি পল্লব। ছেড়ে দেন শোবিজ অঙ্গনও। এখন মাকে নিয়ে থাকেন ঢাকার আদাবরের বাড়িতে। সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় নিজের ফ্যাক্টরিতেই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের পরিবেশক হিসেবে কাজ করছেন। অনাথ দুস্থ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি এনজিও পরিচালনা করছেন। এসব করেই কেটে যায় তাঁর দিন। কাজের জন্য বাইরে গেলেও মনটা পড়ে থাকে ৮০ পেরোনো মায়ের কাছে। মায়ের সব রকম দেখাশোনা তিনি নিজেই করছেন। একসময় শোবিজে কাজ করতে গিয়ে পরিবারের কারোরই খোঁজখবর রাখতে পারেননি। এখন সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন পল্লব।

২০১৬ সালের অক্টোবরে কানাডায় পাড়ি দেন তিন্নি । ছবি: সংগৃহীত

২০১৬ সালের অক্টোবরে কানাডায় পাড়ি দেন তিন্নি। এখন মন্ট্রিয়েলের লাসাল শহরে থাকেন মেয়ে ওয়ারিশাকে নিয়ে। ওয়ারিশার বয়স ১১ বছর। সে ক্লাস ফোরে পড়ে। তিন্নির মা-বাবা থাকেন বাংলাদেশে। প্রতিদিনই তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তাঁর। ওয়ারিশার বাবা অভিনেতা হিল্লোল থাকেন যুক্তরাষ্ট্রে। মেয়ের সঙ্গে বাবার নিয়মিত কথা হয়। হিল্লোলের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার বিয়ে করেছিলেন তিন্নি। সংসারটা টেকেনি। সেই সংসারে আরিশা নামে তিন্নির একটি মেয়ে আছে। আরিশার বয়স পাঁচ বছর। আরিশা ঢাকায় বাবার কাছে থাকে। মেয়ে ও তার বাবার সঙ্গে নিয়মিত কথা হয় তিন্নির। মাঝে একটি কল সেন্টারে চাকরি নিয়েছিলেন তিন্নি। দুই মাস পর সেটি ছেড়ে একটি কসমেটিকস স্টোরে যোগ দিয়েছিলেন। চাকরি-বাকরি ধাতে সয়নি। তাই আর ওসব করার ইচ্ছাও নেই। এখন মেয়েকে দেখাশোনা করেই সময় কাটে। দেশে ফিরে অভিনয়ে নামতে ইচ্ছা করে ফের। কানাডিয়ান পাসপোর্ট হতে আর বছর দেড়েক লাগবে তাঁর। এরপর তিন্নি দেশে ফিরবেন। ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিষয়ে পড়াশোনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশে ফিরে সিনেমায় কাজের ইচ্ছা আছে। কানাডায় থেকে আন্তর্জাতিক কিছু কাজও করতে চান। এ জন্য ফরাসি ভাষাও শিখছেন। নতুন সংসার শুরু করার ইচ্ছাও মরে যায়নি একেবারে।