
সারা দিন ধরে থানা, হাসপাতাল, রেলস্টেশনসহ নানা জায়গায় অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাবা আজাদ হোসেনের খোঁজে দৌড়াদৌড়ি করেছেন অভিনয়শিল্পী প্রসূন আজাদ। অবশেষে সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে প্রসূন আজাদ জানালেন, তাঁর বাবা বাসায় ফিরেছেন। তিনি ঠিক আছেন।
প্রসূনের সঙ্গে যখন কথা হচ্ছিল তখন তিনি তাঁর বাবা আজাদ হোসেনসহ নিকটস্থ থানায় যাচ্ছিলেন। প্রসূন বললেন, ‘সারা দিন হন্যে হয়ে আব্বুকে খুঁজেছি। আব্বুর চিন্তায় পরিবার ও আত্মীয়স্বজন সবাই ভীষণ অস্থির ছিল। বাবা ফিরে এসেছে, এখন স্বস্তি লাগছে। কিন্তু আব্বুর কী হয়েছে, কোথায় ছিলেন, জানতে চাইলে তিনি কিছুই বলেননি। আমরাও বেশি চাপ দিইনি। হয়তো আস্তেধীরে সব বলবেন। আমাদের আব্বুকে ফিরে পেয়েছি, এটাই শুকরিয়া।’
এর আগে গত শুক্রবার ১৮ জুলাই বিকেল থেকে অভিনেত্রীর বাবা নিখোঁজ ছিলেন, জানিয়েছেন অভিনয়শিল্পী প্রসূন আজাদ। তিনি আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার আব্বুকে কেউ রাস্তায় বা হাসপাতালে বা যেকোনো জায়গায় দেখলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। গতকাল বিকেল চারটা থেকে এখন পর্যন্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’ এর আগে কথাপ্রসঙ্গে প্রসূনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কারও সঙ্গে আপনার বাবার কোনো বিরোধ আছে কি না, কাউকে সন্দেহ হয়?—এমন প্রশ্নে প্রসূন আজাদ বলেছিলেন, ‘আমার আব্বার কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। বরং তাঁর সঙ্গে সবারই খুব ভালো সম্পর্ক। তিনি ভীষণ প্রাণখোলা মানুষ। আড্ডা দিতে ভালোবাসেন। আমার পরোপকারী আব্বু গেল কোরবানিতেও একজন অসহায় মানুষকে নিজের টাকা দিয়ে ঘর বানিয়ে দিয়েছেন। এটা বলছি এই কারণে, সে বরাবরই খুবই পরোপকারী একজন মানুষ। জানি না, আমার সেই আব্বুটা কই আছে? কী করছে?’
প্রসূন আজাদ ২০১২ সালে লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টারের প্রথম রানারআপ হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন। এরপর একাধিক নাটকে ও কিছু সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করেন। পরে হঠাৎ অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। সর্বশেষ গত বছর তাঁর অভিনীত ‘পদ্মাপুরাণ’ সিনেমা মুক্তি পায়। প্রসূন এখন সংসারে বেশি মনোযোগী। দুই সন্তানের মা হয়েছেন তিনি।