
কোনো অনুমতি ছাড়াই বর্তমান সময়ে শুটিং ইউনিটের শিল্পী–কলাকুশলীরা শুটিং কিংবা শুটিংয়ের পেছনের গল্পের ভিডিও করছেন। সেগুলো কেউ সরবে, কেউ নীরবে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করে ডলার আয় করছেন। কিন্তু দিন শেষে ক্ষতির মুখে পড়ছেন প্রযোজক, এমনটাই মনে করেন অভিনেতা নিলয় আলমগীর। এই নিয়ে প্রশ্নও তুলেছেন এই অভিনেতা। তিনি লিখেছেন, ‘এমন ভিডিওর ঘটনায় কোনো প্রযোজক যদি আইনি পদক্ষেপ নেন, তাহলে বিপদে পড়বেন কারা?’
নিলয় লিখেছেন, ‘নাটকের প্রযোজক বা চ্যানেল মালিক টাকা ইনভেস্ট করে নাটক বানান। ইউটিউব, ফেসবুক, টিভি, ব্র্যান্ডিং থেকে সেই টাকা ওঠানোর চেষ্টা করেন। সেই নাটকের অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে পরিচালক, সহকারী পরিচালক, সিনেমাটোগ্রাফার, প্রোডাকশন, লাইটগ্রাফার, মেকআপ, হাউস, স্ক্রিপ্টরাইটার, ফটোগ্রাফারসহ সংশ্লিষ্ট সব পেশার মানুষকে তাঁর পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হয়।’
কিন্তু শুটিংয়ে এসে এই শিল্পী–কলাকুশলীরা নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমতো ভিডিও করতে থাকেন, এ কথা দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। নিলয় লিখেছেন, ‘পারিশ্রমিক দেওয়ার পরেও শুটিং চলাকালীন কেউ কেউ নাটকের বিটিএস (বিহাইন্ড দ্য সিন) শুটিং করেন। সেগুলো, তাঁরা ফেসবুক আইডি বা পেজে পোস্ট করে ডলার কামানোর চেষ্টা করেন। ব্যাপারটা কতটুকু নৈতিক?’
এ সময় তিনি আরও লিখেছেন, ‘যাঁরা ভিডিও করছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করলে বলে প্রমোশন করছি। এই প্রমোশন নাটকের প্রযোজকের জন্য কতটুকু লাভজনক, সেটা প্রযোজকই ভালো জানেন। প্রমোশন করতে হলে প্রযোজক নিজে বলবেন অথবা তাঁদের নিজের চ্যানেল বা পেজে প্রমোশন করবেন।’
প্রমোশনের নামে শুটিংয়ের ভিডিও দিয়েই অনেকে গোপন চ্যানেল তৈরি করছেন। সেখান থেকেও তাঁরা আয়ও করছেন উল্লেখ করে নিলয় লিখেছেন, ‘শুটিং ইউনিটের কেউ কেউ সিক্রেট চ্যানেল ওপেন করেছেন সেই বিটিএস দিয়ে। খোঁজ নিলে দেখা যাবে তাঁরা সহকারী পরিচালক অথবা ডিওপির সহকারী। তাঁরা নিজেরা শুটিং সেট থেকে বিটিএস কালেক্ট করতে না পারলে আর্টিস্টদের আইডি বা পেজ থেকে বিটিএস কালেক্ট করে তাঁদের সিক্রেট চ্যানেলে দিচ্ছেন। যে যেটাই করছেন, তাতে ক্ষতি হচ্ছে প্রযোজকের। এখন কোনো প্রযোজক যদি আইনি পদক্ষেপ নেন, তাহলে বিপদে পড়বেন কারা?’