আজ ৪ নভেম্বর প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। পাঠক হিসেবে সংবাদপত্রটির সঙ্গে সম্পর্ক, আস্থা ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। অভিনেত্রীর চোখে প্রথম আলো দেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমগুলোর একটি। দেশের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলে বা আলোচিত কোনো খবর এলেই প্রথম আলোর সংবাদ দেখেই আশ্বস্ত হন তিনি।
শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিতে
প্রথম আলোর সঙ্গে শৈশব–কৈশোর জড়িয়ে আছে সাদিয়া আয়মানের। বাসায় বাবা-চাচারা নিয়মিত পত্রিকাটি রাখতেন। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস কম থাকলেও সুযোগ পেলেই পাতাগুলো উল্টেপাল্টে দেখতেন তিনি। ছোটবেলায় তাঁর স্বপ্ন ছিল সংবাদ পাঠিকা হওয়ার। প্রথম আলো পড়ে অনুশীলন করতেন তিনি। সেই মজার স্মৃতি স্মরণ করে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথম আলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন নিউজ মুখস্থ করে আমি নিজে নিজে নিউজ প্রেজেন্টেশন প্র্যাকটিস করতাম। তখন ভাবতাম, সংবাদ পাঠিকারা হয়তো সব মুখস্থ করে সংবাদ পাঠ করেন (হাসি)।’
প্রথম সাক্ষাৎকার
কিশোর বয়সে পত্রিকার প্রথম পাতায় কর্নারে তারকাদের ছবি দেখে সাদিয়া আয়মানের মনে হতো, কেন এত সব গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের মাঝে তাঁদের ছবি রাখা হয়! সেই সময় তাঁর কল্পনাতেও ছিল না, একদিন তাঁর ছবিও জায়গা পাবে সেই পাতায়। সাদিয়া আয়মানের অভিনয় ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে ২০২২ সালে, শিহাব শাহীনের ওয়েব ফিল্ম ‘মায়াশালিক’–এর মাধ্যমে তাঁর পরিচিতি বাড়ে। এই কাজের পর সবাই সাদিয়া আয়মানকে অভিনেত্রী হিসেবে নতুনভাবে জানে। ঠিক সে সময়ই প্রথম আলোয় প্রথমবার তাঁর সাক্ষাৎকার ছাপা হয়। পরদিন হাতে পত্রিকা পেয়ে যে অনুভূতি হয়েছিল, সেটিকে নিজের জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি বলে মনে করেন সাদিয়া আয়মান। অভিনেত্রী বলেন, ‘যে বাসায় থাকতাম, সেই বাসার আঙ্কেল-আন্টি পত্রিকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমাকে বললেন, “তোমার ছবি এসেছে!” আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছিল না। এত বড় ছবি। এটা আমার কাছে বিশাল একটা স্মৃতি।’ অভিনেত্রী জানান, প্রথম আলোয় প্রকাশিত সব খবর সংরক্ষণে রেখেছেন তিনি।
বিশ্বাস, আস্থা ও দায়িত্ববোধ
প্রথম আলো সম্পর্কে সাদিয়া আয়মানের আস্থা যেমন গভীর, প্রত্যাশাও তেমন বেশি। অনেক সংবাদমাধ্যম যেখানে নেতিবাচক বিষয়কে গুরুত্ব দেয়, সাদিয়ার মতে প্রথম আলো সেখানে ইতিবাচক দিকটি তুলে ধরতে সচেষ্ট। অভিনেত্রীর কথায়, ‘প্রথম আলোকে সাক্ষাৎকার দিলে বা তাদের অনুষ্ঠানে গেলে আমার মনে এ বিশ্বাসটা থাকে—খবরটা নেতিবাচকভাবে আসবে না। হেডলাইন থেকে সংবাদটি পজিটিভভাবে আসবে।’ দেশে কোনো সংকট, দুর্ঘটনা বা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটলে প্রথমেই প্রথম আলোর সংবাদের জন্য অপেক্ষা করেন সাদিয়া আয়মান। অভিনেত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো খবর দেখে তাৎক্ষণিক মন্তব্য করি না। সবার আগে দেখি প্রথম আলো কী বলছে। কারণ, জানি প্রথম আলো সঠিক সোর্স ব্যবহার করবেন। সঠিক তথ্য পেয়ে বুঝে তারপর মত দিই।’ শিল্পী হিসেবে জনগণের একজন প্রতিনিধি হিসেবে নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসরণ করা তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন এই অভিনেত্রী।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রথম আলোর জন্মদিনে শুভকামনা জানিয়েছেন সাদিয়া আয়মান। তাঁর প্রত্যাশা, দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আর জনগণের প্রতি আস্থা বজায় রেখে প্রথম আলো এগিয়ে যাবে আরও অনেক দূর। অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসের জায়গাটা আরও শক্ত হোক—সব সময় মানুষের পাশে থাকুক প্রথম আলো।’