৬ লাখ ডলার থেকে বছর ঘুরতেই পারিশ্রমিক কোটির ক্লাবে

মাত্র ২.৯ রেটিংয়ের সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। অ্যাকশন হলেও সিনেমাটির গল্প প্রবলভাবে সমালোচিত হয়েছিল। ‘হ্যাংমেন’ নামের সেই সিনেমাটিতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। শুরুতে হোঁচট খেয়ে পরে দুই বছর আর কোনো কাজই পাননি। সেই অভিনেত্রীই পরে জিতেছিলেন অস্কার। যাঁর পারিশ্রমিক একলাফে ৬ লাখ ডলার থেকে কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। সেই সান্ড্রা বুলকের আজ জন্মদিন। ছবিতে দেখে নিতে পারেন তাঁর ক্যারিয়ারের গল্প।
স্কুলের চিয়ারলিডার হিসেবে তিনি ছিলেন সবার কাছে পরিচিত। যে কারণে প্রায়ই তাঁকে স্কুলে অভিনয় করতে হতো। এভাবেই তাঁর অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসা জন্মে।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
একসময় অভিনয়ের ওপরই পড়াশোনা শুরু করেন। পড়াশোনা শেষ করেই তিনি ‘হ্যাংমেন’ (১৯৮৭) সিনেমায় নাম লেখান। সিনেমাটি ব্যবসায়িকভাবে ব্যর্থ হয়। শুরুতেই হোঁচট খান।
তখন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটান থেকে নিউইয়র্ক চলে যান। সেখানে তিনি মদের দোকানে পরিচারিকা হিসেবে কাজ নেন। পাশাপাশি অভিনয়ের জন্য অডিশন দিতে থাকেন।
মঞ্চেও কাজ করতেন। পরে তিনি ‘স্টার্টিং ফ্রম স্ক্র্যাচ’, ‘লাকি চান্সসেস’সহ বেশ কিছু সিরিজে অভিনয়ের সুযোগ পান। অভিনয়ের বাইরে তিনি শিক্ষকতার পেশায়ও ছিলেন।
হঠাৎ করেই ১৯৯০ সালে ‘ওয়াকিং গার্ল’ টিভি সিরিজ দিয়ে আলোচনায় আসেন। পারিশ্রমিকও বাড়তে থাকে।
সুযোগ পেয়ে যান ‘স্পিড’ সিনেমা অভিনয়ের। সেই সিনেমার পারিশ্রমিক নেন ৬ লাখ ডলার। সিনেমাটি আলোচনায় আসেন। দুটি শাখায় অস্কার জিতে নেয়। এরপর আর সান্ড্রাকে পেছনে তাকাতে হয়নি।
একলাফে হঠাৎ করেই এক বছরের মধ্যে ৯৪ লাখ ডলার পারিশ্রমিক বাড়ান। সব মিলিয়ে তাঁর পারিশ্রমিক হয় কোটি ডলার। ক্যারিয়ারের সফলতার দেখা পেতে থাকেন। পরে একের পর এক পারিশ্রমিক বাড়তেই থাকে।
পরে তিনি জনপ্রিয়তা পান ‘দ্য প্রপোজাল’, ‘গ্র্যাভিটি’সহ বেশ কিছু সিনেমা দিয়ে। একের পর এক সাফল্য এলেও তিনি মনে করতেন, ‘সাফল্য হচ্ছে ছোট ছোট কাঁটাযুক্ত প্যাকেজ। তুমি চাইলে ধরতেও পারো না-ও পারো। এটা সব সময় তোমাকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে।’
একসময় বারে কাজ করা এই অভিনেত্রী এখন ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মালিক। ২৬ জুলাই ১৯৬৪ সালে তাঁর জন্ম।