
টাই, বাংলায় বেশ গালভরা এক নাম রয়েছে এর—গলাবন্ধনী। এই গলাবন্ধনী বা টাই ছাড়া পুরুষের আনুষ্ঠানিক সাজপোশাক যেন ভাবাই যায় না। বিশেষত করপোরেট দুনিয়ায় তো নয়ই। নারীরাও আজকাল পরছেন এন্তার। তবে এটি কিন্তু কেবল সাজের অনুষঙ্গ বা ফ্যাশন নয়, এর মাধ্যমে ব্যক্তির অন্তর্গত রুচি এবং ব্যক্তিত্বের পরিচয়ও প্রকাশ পায়।
টাইয়ের ইতিহাস যথেষ্ট প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব ২১০ সালে চীনে এবং খ্রিষ্টপূর্ব ১১৩ সালে রোমান সাম্রাজ্যে টাই ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া যায়। এরপর বিভিন্ন সময় এই গলাবন্ধনী নানান রকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। ১৬৫০ সালে এতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। এ সময় ক্রোয়েশিয়ার সেনাসদস্যরা টাই ব্যবহার করতে শুরু করেন। তখন একে ক্রোয়েশীয় ভাষায় বলা হতো ‘ক্রাভাট’। ১৮১৫ সালে সম্রাট নেপোলিয়নের আমলে ক্রাভাট নাম বদলে নাম হয়ে যায় ‘টাই’। সবচেয়ে বড় পরিবর্তন ঘটে ১৯২০–এর দশকে। এ সময় জেসি ল্যাংসডোর্ফ নামে নিউইয়র্কের এক দরজি টাইয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।
টাইয়ের বিভিন্ন রকম রয়েছে। যেমন, নেকটাই, বোলো টাই, স্কিনি টাই, বো টাই ইত্যাদি। পার্থক্যটা মূলত দৈর্ঘ্যে। সাধারণ টাই সরু এবং লম্বাটে হয়ে থাকে। আর বো টাই লম্বা নয়, কেবল গলা ঘিরে রাখে। দেখতে অনেকটা গলার নিচে ডানা মেলা প্রজাপতির মতো মনে হয়।
আজ ২৮ আগস্ট, বো টাই দিবস। যত দূর জানা যায়, ২০০৭ সাল থেকে দিনটি পালিত হয়ে আসছে।
ন্যাশনাল ডে ক্যালেন্ডার ডটকম অবলম্বনে