কে না চায় তাঁর ফেসবুক আইডিটা সুন্দর, ছিমছাম, সাজানো–গোছানো হোক। আইডিটার একটু নামডাক হোক। আইডিটা হবে ‘সিম্পল’ এবং একই সঙ্গে ‘গর্জিয়াস’। আড়ম্বরহীন কিন্তু আকর্ষণীয়। প্রোফাইলে ভিজিট করলেই লোকজনের মনে হবে, ‘আহা! কী খাসা আইডি!’ চাইলেই কিন্তু এমন একটা সুখী–সমৃদ্ধ ফেসবুক আইডির গর্বিত মালিক আপনি হতে পারেন। ‘একটু থামুন’–এর বিশেষজ্ঞ দিচ্ছেন তারই পরামর্শ...

বেশি বেশি কোনো জিনিসই ভালো নয়। একটা আইডির ভরণপোষণেই যেখানে অনেক মেধা আর শ্রম দিতে হয়, সেখানে দুই কিংবা ততোধিক আইডি নিতান্তই বিলাসিতা। তাই আইডি হোক শুধুই একটি।
অনেকেরই ‘দেখিবামাত্র ইহাকে অ্যাড করিতে হইবে’ টাইপের বাতিক আছে। কিন্তু বেশি বেশি ‘ফ্রেন্ড’ মানেই হোমপেজজুড়ে মাথা ঘুরান্টি দেওয়া আজাইরা প্যাঁচালের ছড়াছড়ি। তাই ফ্রেন্ডলিস্ট ছোট রাখুন। আইডিকে সুখে রাখুন।
প্রোপিক ভ্যাবদামারা হোক, ট্যামা খাওয়া হোক, ঘোলা কিংবা ঝিরিঝিরি হোক, তাতে সমস্যা নেই। বরং টাইমলাইন যেন হয় ঝাঁ–চকচকে ‘সুখী সুনিবিড়, শান্তির নীড়’। আপনার প্রোফাইলে বেড়াতে আসা লোকজনের যেন আর বাড়ি (হোমপেজে) ফিরে যেতে ইচ্ছে না করে।
কারও ছবি হয়তো ভালো লেগে গেল বা একটা লেখা মনে দাগ কেটে গেল। আপনার হয়তো মনে হলো, এর সঙ্গে অ্যাড না হতে পারলে ফেসবুক–জীবন বৃথা! জনাব, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন। মোহে পড়ে যাকে–তাকে অ্যাড করবেন না।
আপনার নাম আবদুল কুদ্দুস? রমজান আলি? কমলাকান্ত দাস? মফিজ উদ্দীন? আইডির নাম সেটাই দিন। ‘একলাবতীর অদৃশ্য অভিমানের’ চেয়ে আম্বিয়া খাতুন হাজার গুণ ভালো। ‘ফোকাস বয় জিসানের’ চেয়ে আবদুল আলিম জিসান চোখের জন্য বেশ আরামদায়ক।
‘আমার কমেন্ট আমি করব, যেমন খুশি তেমন করব’ নীতি থেকে সরে আসুন। কমেন্ট করার আগে ৭০-৮০ বার ভাবুন। মনে রাখবেন, মানুষ তাঁর কমেন্টের সমান সুন্দর।
পেজ খুলেই ‘বাদ যাবে না কোনো আইডি’ নীতি মেনে সবাইকে গণহারে ‘ইনভাইট’ পাঠাবেন না। আপনার ইনভাইটটি নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন।
ঢাক-ঢোল-গিটার-সেতার বাজিয়ে নিজের সব কথা ফেসবুকবাসীকে জানানোর দরকার নেই। আপনার মন খারাপের কথা বিতং করে ফেসবুকে না বলে বরং খানিকক্ষণ হাঁ করে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকুন বা বারান্দার গ্রিল ধরে ‘কেউ আমাকে বুঝতে পারে না’ ভাবতে ভাবতে কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ুন।
আপনার ইনবক্স দুষ্টু হতে চাইবে, বেয়াড়া হতে চাইবে। তাকে টাইট দিন। না শুনলে স্ক্রিনশটের ভয় দেখান। কথায় আছে, ‘গোঁফের আমি, গোঁফের তুমি ইনবক্স দিয়ে যায় চেনা!’