আচারের কারিগর আফসানা
আফসানা তরীর ঘরের ডাইনিং টেবিলে থরে থরে সাজানো নানা রকমের আচার। এগুলো ক্রেতাদের বাড়ি যাওয়ার জন্য তৈরি। আফসানার আচার নিয়ে ব্যবসায়িক উদ্যোগের নাম ‘আচারিয়ানা’। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই নামে একটি পেজ আছে।
অনলাইনভিত্তিক আচারিয়ানা শুরু হয়েছে গত বছরের মে মাসে। তবে প্রায় প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ কেজি আচার তৈরি করেন আফসানা। আচার ও আচারের উপকরণ সংগ্রহের জন্য ব্যবসার লাভের টাকায় কিনেছেন দুটি ফ্রিজ।
সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরার বাসায় বসে আফসানা জানালেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। তাঁরা দুই বোন। বিয়ের আগে স্কুল ফর গিফটেড চিলড্রেন নামক স্কুলে গানের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন। বাসাতেও বাচ্চাদের
গান শেখাতেন। গত বছরের শুরুতে বিয়ের পর ধানমন্ডির বাবার বাড়ি থেকে উত্তরায় শ্বশুরবাড়িতে চলে আসতে হয়।
আফসানা বললেন, ‘বিয়ের সময় জন্ডিস হয়েছিল। তারপর শারীরিক দুর্বলতায় কাজ করা সম্ভব হয়নি। উত্তরা থেকে যাতায়াতও সমস্যা ছিল। বাসায় একাকিত্ব পেয়ে বসে। একদিন শখ করেই এক কেজি আমের আচার বানাই। বর খেয়ে আচার বিক্রি করার পরামর্শ দিলেন। এক ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে সব আচার বিক্রিও হয়ে যায়। তারপরই আমার আচারিয়ানার যাত্রা শুরু।’
এ পর্যন্ত প্রায় ১২ থেকে ১৫ রকমের আচার তৈরি করেছেন আফসানা। আচার নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেন।
আফসানা আমড়া দিয়ে আমড়ানন্দ, জলপাই দিয়ে জল্পনা, চালতা দিয়ে চালটানা এ রকম নাম দিয়েছেন আচারের।
মানিকগঞ্জ থেকে আচারের জন্য বাছাই করা মসলা ও তেল আনিয়ে দেন আফসানার মা। স্বামী ফুয়াদ সারোয়ার আফসানাকে নিয়মিত প্যাকিংয়ে সহযোগিতা করেন। শাশুড়িও সহযোগিতা করেন নিয়মিত।
আফসানা চান, অন্য ছেলেমেয়েরাও পড়ালেখার পাশাপাশি এ কাজে এগিয়ে আসুক। নিজেদের আয়ের উৎস তৈরি করুক।
আরও পড়ুন
-
২১ জেলার বাসিন্দারা তাপপ্রবাহের উচ্চ ঝুঁকিতে
-
সবার চোখের সামনে ডুবেছে বেসিক ব্যাংক
-
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলবিরোধী ক্যাম্পাস বিক্ষোভে ১৯০ পরামর্শক গোষ্ঠীর সমর্থন
-
ফিলিস্তিনের জন্য বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করছে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
-
বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানিকে ছুরি মেরে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক