আলোর ক্যাম্পের যত গল্প

আলোর ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির নতুন নতুন তথ্য জানার সুযোগ করে দিয়েছে। ছবি: সৌরভ দাশ
আলোর ক্যাম্প শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির নতুন নতুন তথ্য জানার সুযোগ করে দিয়েছে। ছবি: সৌরভ দাশ

‘এটা অবিশ্বাস্য!’ বিজয়ী হওয়ার পর চট্টগ্রাম সিলভার বেলস কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুলের দলনেতা নাবিলা তাসনীয়া তখনো বিশ্বাস করতে পারছিল না তিন দিনের আঞ্চলিক ক্যাম্প থেকে জাতীয় পর্যায়ে যাচ্ছে তার দল ও স্কুল। ক্যাম্পে ছিল নানা ধরনের পরীক্ষা ও মূল্যায়ন। বাকি ছয় জেলার সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। অবশেষে চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক বিজয়ী দল হিসেবে নিজের জেলা ও স্কুলকে প্রতিনিধিত্ব করবে তাদের পাঁচজনের দল। এটা বিশ্বাস করার পর নাবিলার পরের বাক্য ছিল, ‘এই ক্যাম্প ছিল অসাধারণ!’
গল্পটা শুরু করা যাক নিবন্ধন বুথ থেকেই। আমরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে দেখেছি খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি স্কুলই এসেছিল ভোরে রওনা দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই তাদের ঘুমে ঢুলু এবং ক্লান্ত থাকার কথা! কিন্তু কিসের কী! সবার চোখে-মুখে অধীর আগ্রহ। তবে সারি ধরে নিবন্ধন করতেই অপেক্ষার পালা শেষ। উপহার হাতে নিয়ে নিবন্ধন করেই সবাই জেনে গেল কখন কী হচ্ছে। সূচি ধরে এগিয়ে গেলে শুরুর দিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের প্রথম সেশন শুরু। তবে পরিচিতি পর্বেই বলে দেওয়া হয়েছিল, ক্যাম্পে শুধুই পড়া এবং প্রশিক্ষণ নয়। তার বাইরেও ছিল বিভিন্ন ধরনের লিডারশিপ এবং টিম বিল্ডিং গেম।
ক্যাম্পে প্রতিদিনই ছিল একাধিক সেশন এবং সেশন শেষে পরীক্ষা। যেমন: ইন্টারনেট কী? কীভাবে কাজ করে। ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে আলোচনা। ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও নিরাপদে ব্যবহারের কৌশল। উইকিপিডিয়ায় নিবন্ধ লেখা ও সম্পাদনা করা থেকে শুরু করে গুগল ট্রান্সলেটে নিজের ভাষাকে সমৃদ্ধি করাও ছিল একটি অংশ। প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার আগে কোডিং নিয়েও ছিল একটি সেশন। ছিল ইন্টারনেটে আরও ভালোভাবে তথ্য খোঁজা বিষয়ে টিপস ও পরামর্শ। তা ছাড়া ডিজিটাল লাইফস্টাইল নিয়ে ছিল একটি মজার আলোচনা। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ও ডেভেলপিংয়ের সেশনটি। কারণ, প্রতিটি দলকেই তাদের স্কুলের ওয়েবসাইট তৈরি করে শেষ দিন ওটা উপস্থাপন করতে হয়েছে। তা ছাড়া এসব তো ছিল ক্যাম্পের সূচি মোতাবেক। কিন্তু আঞ্চলিক ক্যাম্পে পড়া, পরীক্ষা ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রশিক্ষণ ছাড়াও ছিল নানা কর্মসূচি।
যেমন: প্রতিটি দলকেই কোনো এক সেশন বিরতিতে দুটি আর্ট পেপার, একটি কাঁচি, একটি স্কচটেপ, ছয়টি এ-ফোর পেপার, গ্লু স্টিক ও দুটি করে সাইন পেন দেওয়া হয়। বলা হয়, প্রতিটি দলকে একটি ব্রিজ তৈরি করতে। শর্ত হচ্ছে, ব্রিজের দৈর্ঘ্য হতে হবে তিন ফুট। শক্তপোক্ত হতে হবে। ব্রিজের অন্তত তিনটি পিলার ও দুটি বাঁক থাকতে হবে এবং দৃষ্টিনন্দন হতে হবে। সময় ১৫ মিনিট। তারপর তো প্রতিটি দল পড়িমরি করে তাদের কাজ শুরু করে দেয়। দলের কাউকে দেখা যায় পিলার তৈরি করতে। কাউকে দেখা যায় সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ব্রিজের ইন্ডিকেটর আঁকতে। কিন্তু কোনো কোনো দলকে দেখা যায় প্রথমেই ব্রিজের একটি ড্যামি এঁকে নেয় এবং কাজ শুরু করে। আর আমরা এমনই কিছু হয়তো চাইতাম। তারা যা করছে, সেটা পরিকল্পনানুযায়ী এবং সবাই মিলে করল কি না।
আবার ধরুন আপনাকে একটি মুঠোফোন দেওয়া হলো এবং একটি কিউআর কোড দেওয়া হলো। আপনি এটার সমাধান দিন। আপনার-আমার কাছে কঠিন মনে হলেও শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে সেটার সমাধান ঠিকই করেছে। মুঠোফোনের কিউআর কোড স্ক্যানার অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তারা ওই কোডের লিঙ্কে গিয়েছে এবং ওখানে রাখা ১০টি প্রশ্নের উত্তরও গুগলে সার্চ করে বের করেছে। গুপ্তধনের বদলে খুঁজে খুঁজে এমনই পাঁচটি সমস্যার সমাধান করা এবং প্রতিটি সমাধানের পর একটি করে ধাঁধা বোর্ডের টুকরো সংগ্রহ করে সেই ধাঁধা বোর্ড মেলানোর খেলা ‘ট্রেজার হান্ট’ ছিল শিক্ষার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ।
কিন্তু ক্যাম্প কি ক্যাম্পফায়ার ও বারবি কিউ ছাড়া পূর্ণাঙ্গতা পায়? একদমই না। প্রতিটি ক্যাম্পেই দ্বিতীয় রাতে ছিল ক্যাম্পফায়ার ও বারবি কিউয়ের আয়োজন। নয়তো রাঙামাটির মানুচিং মারমা যে এত সুন্দর নাচে, সেটা জানাই হতো না। তা ছাড়া আগেই বলা ছিল যে ক্যাম্পফায়ার অনুষ্ঠান শুধুই তাদের জন্য। তাই এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পারফর্মেন্স ছিল শিক্ষার্থীদের। নাচ, গান, কবিতা, কৌতুক সবই ছিল।
বিজয়ী ঘোষণার পর থেকেই ফেনীর জলিরা কান্নায় ভেঙে পড়েছিল। এর মধ্যেই এসে বলল, ‘বিজয়ী তো একটি দলই হবে। তবে অন্তত আরও শেখা ও জানার জন্য ক্যাম্প কি দুই দিন বাড়ানো যায় না?’
আই-জেনের প্রথম পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সারা দেশের দুই হাজার স্কুলে ৷ এতে অংশ নিয়েছে ৮ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থী ৷ এর মধ্য থেকে জেলা অংশ নিয়েছে এক হাজার স্কুলের স্কুল দল৷ জেলা পর্যায়ে প্রতিটি জেলা থেকে আমরা পেয়েছি একটি দল, যারা এখন অংশ নিচ্ছে আই-জেনের আঞ্চলিক পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়৷
গ্রামীণফোন ও প্রথম আলোর উদ্যোগে আই-জেন ২০১৫ আয়োজনে সহযোগিতা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সহযোগী হিসেবে আরও আছে অ্যালপেনলিবে, মাইক্রোসফট, অপেরা মিনি, এখানেই ডটকম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, উরি ব্যাংক, রেডিও ফুর্তি ও চ্যানেল আই।

ঢাকার জেলা পর্যায়ে অংশ নিতে চাইলে
ঢাকা জেলার স্কুল পর্যায়ের আই–জেন প্রতিযোগিতা চলছে৷ ইতিমধ্যে স্বনামধন্য ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে৷ আই–জেনের স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যমের স্কুলগুলোকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে৷ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ২০ অক্টোবরের মধ্যে৷ নির্বাচিত স্কুলগুলোতে প্রায় এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে ওই স্কুলের অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা৷ আয়োজনে সার্বিক সহায়তা ও ব্যবস্থাপনা করবে আই–জেন কর্তৃপক্ষ৷ আগ্রহী স্কুলের একজন শিক্ষককে আই–জেনের ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/IGEN) অথবা ০১৭১২৬৭৮১৭৩—এই মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে৷
ইতিমধ্যে সারা দেশে ৬৩টি জেলায় আই–জেনের স্কুল ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে৷ অংশ নিয়েছে প্রায় দুই হাজার স্কুল৷ ধাপে ধাপে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা পেয়ে গেছি ৬৩টি জেলা এবং সাত অঞ্চলের সেরা স্কুল দল৷ ঢাকা জেলার স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতার পর বাছাই করা স্কুল দলগুলো অংশ নেবে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়৷ পরবর্তী সময়ে ঢাকাসহ ঢাকা অঞ্চলের নয়টি জেলার সেরা স্কুলগুলো নিয়েই হবে ঢাকার আঞ্চলিক আই–জেন আবাসিক ক্যাম্প৷ আট অঞ্চলের সেরা স্কুল দলগুলো লড়বে আই–জেনের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়৷
আই-জেনের বিস্তারিত তথ্য থাকছে আই-জেনের ফেসবুক পেজ (www.fb.com/IGEN) ও প্রথম আলোর বিশেষ ওয়েবপেজে (www.prothom-alo.com/igen)।

অঞ্চল: চট্টগ্রাম
আই–জেন আবাসিক ক্যাম্প আমাদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা৷ অসাধারণ সময় কেটেছে সবাই মিলে৷ ক্যাম্পে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল স্কুলের ওয়েবসাইট বানানো। জীবনের প্রথম ওয়েবসাইট, তাও আবার নিজ স্কুলের জন্য; সবাই মিলে সারা রাত জেগে কাজ করেছি৷ শেষ দিন প্রেজেন্টেশন নিয়ে একটু ভয়ে ছিলাম৷ ফলাফলে হঠাৎ করেই শুনতে পেলাম আমাদের স্কুলের নাম। বিষয়টা স্বপ্নই মনে হলো। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের আশপাশে অসংখ্য ক্যামেরা, হাত তালি আর দলের অন্য সদস্যদের চিৎকারে বুঝতে পারলাম আসলেই আমরা জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম ও আমাদের স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করতে যাচ্ছি। মেডেল, ক্রেস্ট পাওয়া—সবকিছু মিলিয়ে জীবনে অন্যতম সেরা মুহূর্তের অনুভূতি৷ এখন অপেক্ষা জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিয়ে ‘আই-জেন চ্যাম্পিয়ন’ নামের স্বপ্নটা সত্যি করে তোলা।
নাবিলা তাসনীয়া, দলনেতা, সিলভার বেলস্ কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল

বিজয়ী স্কুল: সিলভার বেলস কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল, চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ী সিলভার বেলস কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল

বিজয়ী দলের সদস্য:
১. আমিনা আহমেদ
২. মায়িশা মিশকাত
৩. ফারদিন মুশফিরাত
৪. উম্মে তাসনীম হাসান
৫. নাবিলা তাসনিয়া
ক্যাম্পের ভেন্যু: ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার, কাজীর দেউড়ি, চট্টগ্রাম।
মোট দলের সংখ্যা: অংশ নিয়েছে সাত জেলার সেরা সাত স্কুল দল। এগুলো হলো কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, কক্সবাজার; সিলভার বেলস কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড গার্লস হাইস্কুল, চট্টগ্রাম; আল-ফারুক ইনস্টিটিউশন, বান্দরবান; রাঙামাটি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, রাঙামাটি; নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, নোয়াখালী; ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ফেনী এবং রায়পুর মার্চেন্টস একাডেমি, লক্ষ্মীপুর।

অঞ্চল: বরিশাল
আমাদের দলের সবাই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম কবে আসবে ১৭ সেপ্টেম্বর, অনুষ্ঠিত হবে আঞ্চলিক আই-জেন ক্যাম্প। আই-জেন আঞ্চলিক ক্যাম্পে অনেক কিছুই শিখেছি। পরিচিত হয়েছি জ্ঞানী ব্যক্তিদের সঙ্গে এবং অন্য সাত জেলার শিক্ষার্থী বন্ধুদের সঙ্গেও। যেই শিক্ষার্থীদের শুরুতে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে হচ্ছিল, পরবর্তী সময়ে তারাই হয়ে গেল বন্ধু। স্কুলের ওয়েবসাইট বানানো ও ক্যাম্পফায়ারের অভিজ্ঞতা আজীবন মনে থাকবে। তবু বিজয়ী দলের নাম ঘোষণার আগে ভয় হচ্ছিল খুব৷ ভয়টা উচ্ছ্বাসে বদলে গেল বিজয়ী হিসেবে আমাদের নাম শুনে৷ এখন আঞ্চলিক বিজয়ের মেডেল আর ট্রফিটা মনে হচ্ছে দায়িত্বের ভার। মনে হচ্ছে, অন্য সাত জেলার বন্ধুদের দায়িত্ব নিয়ে আমরা পাঁচজন আসছি জাতীয় পর্যায়ে।
দুর্গা প্রসাদ সরকার,
দলনেতা, বরিশাল জিলা স্কুল

বিজয় স্কুল: বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল।

বরিশাল আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ী বরিশাল জিলা স্কুল দল

বিজয়ী দলের সদস্য:
১. সামসিল আরিফিন
২. তাহনিক আহমেদ রাইয়ান
৩. সাদমান বিন আহসান
৪. জাওয়াদ হাসান
৫. দুর্গা প্রসাদ সরকার
ক্যাম্পের ভেন্যু: আভাস সেন্টার, আমির কুঠির, বটতলা, বরিশাল।
মোট দলের সংখ্যা: অংশ নিয়েছে আট জেলার সেরা আট স্কুল দল। এর মধ্যে আছে বরগুনা আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বরগুনা; বরিশাল জিলা স্কুল, বরিশাল; ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ভোলা; সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঝালকাঠি; পটুয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পটুয়াখালী; পিরোজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পিরোজপুর; কালকিনি পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মাদারীপুর এবং পালং তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, শরীয়তপুর।

অঞ্চল: খুলনা
খুলনা আঞ্চলিক পর্যায়ে তিন দিনের আবাসিক ক্যাম্প থেকে আমরা অনেক কিছু শেখার সুযোগ পেয়েছি। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ওয়েবসাইট তৈরি, ইন্টারনেটে অবদান রাখা, টিমওয়ার্ক, শৃঙ্খলা, উচ্চারণ, বাচনভঙ্গি ইত্যাদি বিষয়ে শেখার সুযোগ ছিল আমাদের৷ উপভোগ করেছি খেলাধুলা, ক্যাম্পফায়ারসহ ভিন্নমাত্রিক আয়োজন। প্রশিক্ষক ও বিচারকদের কাছে আমাদের কঠোর পরিশ্রম, টিমওয়ার্ক ও শৃঙ্খলার প্রশংসা শুনে আমরা উল্লসিত হয়েছি। ক্রেস্ট ও মেডেলের চেয়েও আই–জেন ক্যাম্পের অনেক বড় পাওয়া তিন দিনের ক্যাম্পের এই অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও অনেক নতুন বন্ধু।
সাদমান নাসিফ, দলনেতা, খুলনা জিলা স্কুল

বিজয়ী স্কুল: খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা।

খুলনা আঞ্চলিক পর্যায়ে বিজয়ী খুলনা জিলা স্কুল দল

বিজয়ী দলের সদস্যদের নাম:
১. সাদমান নাসিফ
২. অনিক মিত্র
৩. সাজিদ ইকবাল
৪. নাঈমুল ইসলাম
৫. এস এম রুহফয়েদ সাকিব
ক্যাম্পের ভেন্যুর নাম: সিএসএস আভা সেন্টার, নতুন বাজার, খুলনা।
মোট দলের সংখ্যা: অংশ নিয়েছে আট জেলার সেরা আট স্কুল দল। এগুলো হলো সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, সাতক্ষীরা; খুলনা জিলা স্কুল, খুলনা; বাগেরহাট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বাগেরহাট; বিএএফ শাহীন কলেজ, যশোর; মুলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল; ঝিনাইদহ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ঝিনাইদহ; মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মাগুরা এবং ভি জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা।

অনলাইনে আই–জেন
প্রতিযোগিতার হালনাগাদ তথ্য জানতে চোখ রাখো ফেসবুকে আই–জেন অফিসিয়াল পেজে। এছাড়া আই–জেন সম্পর্কিত সব খবর পড়তে ভিজিট করো প্রথম আলোতে। ফেসবুক: www.facebook.com/IGEN
প্রথম আলো: www.prothom-alo.com/igen