Thank you for trying Sticky AMP!!

ঈদে ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য ওয়ালটনের

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার বিক্রির প্রধান মৌসুম। এই ঈদ ঘিরে এ বছর দেশের বাজারে ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছে দেশের শীর্ষ ব্র্যান্ড ওয়ালটন। আর পুরো বছরে তাদের টার্গেট ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি করা। বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৫ লাখ পর্যন্ত ফ্রিজ বিক্রি হবে বলে আশাবাদী ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক এবং রেফ্রিজারেটরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ। প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ওয়ালটন ফ্রিজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

ক্রেতারা ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনবেন কেন?

গোলাম মুর্শেদ: আমরা ক্রেতাদের সাশ্রয়ী দামে গুণগত মানসম্পন্ন বিশ্বমানের পণ্য দিচ্ছি। পাশাপাশি বিক্রয়োত্তর সার্ভিসও দিচ্ছি শতভাগ। আমাদের রেফ্রিজারেটরে আকর্ষণীয় ডিজাইনের পাশাপাশি ইনভার্টার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। আমাদের ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর ৬০০এ গ্যাস। আমরা নিজস্ব কারখানায় ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ডিজাইনে টেম্পারড গ্লাস ডোর তৈরি করছি, যেটা বাংলাদেশে আর কারও নেই। এ ছাড়া ন্যানো হেলথ কেয়ার প্রযুক্তি, ইনভার্টার সিস্টেম, ডিরেক্ট ইভাপোরেটিভ কুলিং সিস্টেম (ডিইসিএস), ওয়াইড ভোল্টেজ রেঞ্জ, কুল প্যাক (বিদ্যুৎ ছাড়াই ফ্রিজের অভ্যন্তর দীর্ঘক্ষণ ঠান্ডা রাখার প্রযুক্তি), অ্যান্টিফাংগাল গ্যাসকেট প্রযুক্তি, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী যন্ত্রের ব্যবহার ইত্যাদি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উচ্চমানের উপাদান ব্যবহারের ফলে ওয়ালটন ফ্রিজ যেমন দেখতে নজরকাড়া, তেমনই টেকসই, বিদ্যুৎসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত।

গোলাম মুর্শেদ


ফ্রিজ কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতারা কী কী সুবিধা পাচ্ছেন?
গোলাম মুর্শেদ: ওয়ালটন গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধাই আগে বিবেচনা করে। বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ইএমআই সুবিধা পাওয়া যাবে ওয়ালটন পণ্য কেনায়। তা ছাড়া ৩৬ মাসের কিস্তিতে ওয়ালটনের ফ্রিজ কেনার সুযোগ রয়েছে। অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে ফ্রিজ কেনায় রয়েছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড়।

ঈদের সময় ফ্রিজের বিক্রি কী পরিমাণ বৃদ্ধি পায়?

গোলাম মুর্শেদ: সারা বছরই ওয়ালটন ফ্রিজের চাহিদা থাকে। তবে ঈদের মৌসুমে চাহিদা ও বিক্রি বহুগুণে বেড়ে যায়। কারণ ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম। এ সময় বহু মানুষ রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার কিনে থাকেন।

এই ঈদে আপনারা কী পরিমাণ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন?

গোলাম মুর্শেদ: কোরবানির ঈদ উপলক্ষে দেশের বাজারে ১০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির টার্গেট নিয়েছি। আর বছরের শুরুতে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্য ছিল আমাদের। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘১৯ শে ২০ ’। কিন্তু ওয়ালটন ফ্রিজের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা, পণ্যের গুণগত মান ও সাশ্রয়ী দাম এবং সহজলভ্য বিক্রয়োত্তর সেবার কারণে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই ১৫ লাখ ফ্রিজ বিক্রি হয়ে গেছে। আর যার ফলে বছর শেষে বিক্রি ২০ লাখের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ২৫ লাখ পর্যন্ত চলে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

কতটি দেশে আপনাদের ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে?

গোলাম মুর্শেদ: আমরা বর্তমানে ২০টির বেশি দেশে ফ্রিজ রপ্তানি করছি। এ ছাড়া বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকা–কোলা ওয়ালটনের তৈরি বেভারেজ কুলার ব্যবহার করছে। এ বছরই আমরা ইউরোপে ফ্রিজ রপ্তানি করছি। শিগগিরই আমরা আমেরিকার বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।

নির্বাহী পরিচালক, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ওয়ালটন রেফ্রিজারেটর