গরমের এই সময়টা এক গ্লাস কাঁচা আমের রস সারা শরীরে এনে দেয় প্রশান্তি৷ আবার কিছুদিন পরেই পাকা আমের সময়৷ পাকা আমের মধুর রসেও আসে তৃপ্তি ৷ পুষ্টিবিদদের কাছ থেকেই জানা গেল, কাঁচা বা পাকা দুই ধরনের আমই শরীরের জন্য ভালো৷ আম কাঁচা বা পাকা যে অবস্থায়ই থাকুক না কেন, শরীরের জন্য এর কোনো নেতিবাচক দিক নেই বললেই চলে, জানালেন বারডেম জেনারেলে হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো৷ প্রচণ্ড গরমে কাঁচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে৷ বয়স্ক মানুষের জন্য পাকা আম বেশ উপকারী৷
কাঁচা আম
খাদ্য উপাদান
১০০ গ্রাম কাঁচা আমে
পটাশিয়াম ৪৪ ক্যালরি
ভিটামিন সি ৫৪ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ২১৫ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম৷
* কাঁচা আমে পটাশিয়াম থাকার কারণে তা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷
* প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে তা চুল ও ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে৷
* গ্যালিক অ্যাসিড থাকার কারণে তা হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে৷
* কাঁচা আম শরীরকে ঠান্ডা রাখে। যে কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। গরমে ক্লান্তিও দূর হয়৷
* তবে অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা আম খেলে ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷
পাকা আম
খাদ্য উপাদান
১০০ গ্রাম পাকা আমে আছে
৯০ ক্যালরি
ভিটামিন-এ ৪০০ আইইউ
কার্বোহাইড্রেট ১১.৮ গ্রাম, ভিটামিন-সি ১৩ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিন ১০,০০০ আইইউ আর পটাশিয়াম ২০৫ গ্রাম ৷
* পাকা আমে আছে ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে৷
* ছোট শিশুদের জন্য পাকা আমের রস বেশ উপকারী৷ এক বছর বয়স থেকে পাকা আমের রস খাওয়ালে তা শিশুর দৃষ্টিশক্তি, দাঁত ও চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে৷
* গ্যাস্ট্রিকের কারণে যাদের ফল খেতে সমস্যা হয়, তারা অনায়াসের যত ইচ্ছা পাকা আম খেতে পারেন৷ কারণ এতে এসিডিটি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই৷
* এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকায় তা শরীকে দ্রুত শক্তি জোগাতে সাহায্য করে৷