গণনার নিয়ম বের করা হয়েছিল সেই প্রাচীনকালেই। তবে সেটা প্রথম কে করেছিলেন, তার সুস্পষ্ট প্রমাণ মেলেনি। সেই ধারাবাহিকতায় সংখ্যা বোঝাতে গিয়েই মানুষ চিহ্ন তৈরি করেছে। আর সংখ্যাতাত্ত্বিক হিসাবনিকাশ আরও সহজ করে দেওয়ার পেছনে রয়েছে আপাতদৃষ্টিতে মূল্যহীন সংখ্যা— শূন্যর অবদান। তবে এই শূন্য নিয়েও রয়েছে নানা মত।
একদল গবেষকের মতে, শূন্য সংখ্যাটির উৎপত্তি হয়েছে মেসোপটেমীয় সভ্যতার সময়। অন্য দল আবার তথ্য হাজির করেছে, আজ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে সুমেরীয়রা শূন্যের ব্যবহার করত। তবে বর্তমান সময়ে আমরা শূন্য বলতে যে চ্যাপ্টা আকৃতি দেখি, সেটার ব্যবহার শুরু হয়েছে তৃতীয় খ্রিষ্টপূর্বাব্দে ব্যাবিলনে।
অবশ্য এই সভ্যতাগুলো শূন্যর ব্যবহার করত মূলত বড় সংখ্যাগুলোর খালি জায়গা পূরণের কাজে। সপ্তম শতাব্দীতে ভারতের ব্রহ্মদাস গুপ্তের হাতে শূন্য মূল্যহীন থেকে মূল্যবান হয়ে ওঠে। তিনিই প্রথম শূন্যেরও যে মান রয়েছে, তা সামনে নিয়ে আসেন। এরপর একে একে ভারত থেকে চীন হয়ে শূন্য পৌঁছে যায় আরবেও। ইউরোপে প্রবেশ করতে শূন্যের লেগেছিল আরও কয়েক শতাব্দী!একাদশ শতাব্দীর কোনো একসময়ে ইউরোপে শূন্যের ব্যবহার শুরু হয়। ফিবোনিচ্চি সিরিজের উদ্ভাবক ইতালীয় গণিতজ্ঞ ফিবোনিচ্চি সংখ্যাতত্ত্বে শূন্যকে জনপ্রিয় করতে ব্যাপক অবদান রাখেন। মূলত এরপর থেকেই সংখ্যাতত্ত্বের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠে শূন্য। আর আমাদের পরীক্ষার খাতায়ও!
হিস্ট্রি ডটকম অবলম্বনে আকিব মো. সাতিল