
কামরাঙার আদি বাড়ি কই, কোথা থেকে কেমন করে আমাদের দেশে এসে মিলেমিশে থাকছে, সেটি নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। বিভিন্ন তথ্য থেকে জানা যায়, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া ছিল তার আদি বাস। তারপর অভিবাসী হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। শহরাঞ্চলেও এই ফল এখন সহজলভ্য। যদিও একসময় শুধু এ দেশের গ্রামগঞ্জে পাওয়া যেত এটি।
সবুজ রঙের ফলটিতে কী আছে, জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও অধ্যাপক আলেয়া মাওলা বলেন, এন্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম আর ভিটামিন সির বড় উৎস কামরাঙা। নিয়মিত কামরাঙা খেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর ত্বকও ভালো থাকে। শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণের পর আর যেসব রোগের বিরুদ্ধে লড়তে পারে কামরাঙা, তা জেনে নেওয়া যাক।
নিয়মিত কামরাঙা খেলে রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে আসে।
মাথা ব্যথা এবং জলবসন্ত হলে কামরাঙা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কোনো কারণে চোখ ব্যথা করলে কামরাঙা খেলে ব্যথা কমে যায়।
শিশুর জন্য পর্যাপ্ত বুকের দুধ পেতে, মায়েরা খেতে পারেন কামরাঙা।
অতিরিক্ত গরমে অজ্ঞান হলে, জ্ঞান ফেরার পর কামরাঙার রস খেতে দিন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে।
বমিভাব এবং হজমে সমস্যা দেখা দিলে প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর কামরাঙা খান। দ্রুত আরোগ্য হবে।
সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে কামরাঙা।
যাঁরা ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত ডায়েট করছেন, তাঁরা কামরাঙা নিয়মিত খেতে পারেন, উপকার পাবেন।
এ তো গেল কামরাঙার গুণের কথা, বিপরীত কথাও আছে। সে সম্পর্কেও আলেয়া মাওলা বলেন, ‘কামরাঙায় অক্সালিক অ্যাসিড থাকায়, যাঁরা কিডনিজনিত রোগে ভুগছেন, তাঁদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো। কিন্তু বাকিরা আরাম করে, আয়োজন করে কামরাঙা খান। ভালো থাকবেন।’