
কাঠের পাটাতনের ওপর একচালা ছোট ঘর। সে ঘর শান্ত পানিতে ভেসে চলেছে এক শহর থেকে অন্য শহর। যার মালিক জার্মানির আলোকচিত্রী ক্লডিয়াস স্কুলজ। এই ভাসমান নৌকাই তাঁর ঠিকানা। একজন মানুষের প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে সে ঘরে। যেমন আছে সৌরবিদ্যুতে ঘর আলোকিত করার ব্যবস্থা। তেমনি পানি শোধন, কাজের জন্য ওয়াই-ফাই সুবিধাসহ অতিপ্রয়োজনীয় সবকিছুই।
কেন এমন ঘর বানালেন ক্লডিয়াস? জার্মানির হামবুর্গের বিভিন্ন জায়গায় একটি ঘর তোলার জন্য জমি খুঁজেও সাধ্যের মধ্যে একখণ্ড জমি পাননি এই আলোকচিত্রী। তিন বছর আগে শুরু করলেন এই ভাসমান ঘর তৈরির কাজ। একটু হিসাব–নিকাশও করে দেখেছেন ক্লডিয়াস, জার্মানির শহরগুলোতে এক রুমের বাসা ভাড়া নিতে মাসিক প্রায় ৬৫০ ইউরো ব্যয় করতে হয়, শহরের বাইরে যা ৫০০ ইউরো। অর্থ ও চলাচল সব দিক থেকে ভাসমান ঘরই আরামদায়ক।
একসময় একচালা ঘর তৈরি হলো। মোটমাট প্রায় ১৯ হাজার ইউরো খরচ করতে হয়েছিল সেটা তৈরিতে।
তবে এই ভাসমান ঘর জলে নামাতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা পোহাতে হলো নৌবন্দর কর্তৃপক্ষের। অবশেষে সব ঝুটঝামেলা চুকিয়ে ক্লডিয়াসের ঘর চলছে ভেসে ভেসে। নৌকার জ্বালানি খরচ বাবদ জায়গাভেদে প্রতি মাসে তাঁর খরচ হয় ৩০০ ইউরো। ক্লডিয়াস বললেন, ‘আমি নৌকায় ঘুরি, কাজ করি এটিই আমার বাড়ি-অফিস। তবে নৌকা আর সাধারণ অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসের মধ্যে নিঃসন্দেহে কিছু পার্থক্য তো আছেই। বিশেষ করে বরফ জমা শীতে বসবাস করা একটু কষ্টসাধ্য।’
বিবিসি অবলম্বনে সজীব মিয়া