
তিনি যখন জন্মান রানি ভিক্টোরিয়া তখনো ব্রিটিশ সিংহাসনে আসীন। আর আমেরিকায় স্পেনীয় উপনিবেশের অবসানে স্পেন-আমেরিকার যুদ্ধের দামামা কেবল বাজতে শুরু করেছে। এরপর আটলান্টিক আর প্রশান্ত মহাসাগরে জল অনেকই গড়িয়েছে। সে সবের খবর রাখুন বা নাই রাখুন, অন্য এক প্রশান্তি নিয়ে তিনি এক শতাব্দী পার করেছেন বহু আগেই। তিনি জাপানের মিসাও ওকাওয়া। কাল বুধবার তাঁর ১১৬তম জন্মদিন উদযাপন করা হবে।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর তথ্য অনুসারে তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি। এ প্রেক্ষাপটে নিজের দীর্ঘায়ু হওয়ার গোপন রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘খাও এবং ঘুমাও। তবেই বাঁচবে দীর্ঘদিন।’ দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেওয়া এক বার্তায় ওকাওয়া এ কথা বলেছেন।
ওকাওয়ার জন্ম ১৮৯৮ সালে। ১৯১৯ সালে বিয়ে করেন। তিন সন্তানের জননী তিনি। এঁদের মধ্যে ৯৪ বছর বয়সী এক ছেলে ও ৯২ বছর বয়সী এক মেয়ে এখনো বেঁচে আছেন। তবে ১৯৩১ সালে মারা যান তাঁর স্বামী। ওকাওয়া জানালেন, বিয়ের পিঁড়িতে বসা ও তিন সন্তান জন্ম দেওয়াই তাঁর জীবনের সবচেয়ে আনন্দদায়ক মুহূর্ত। আর স্বামীর মৃত্যু ছিল সবচেয়ে বিষাদের দিন।
ওকাওয়ার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী? বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এই মানুষটির জবাব, ‘খাও এবং ঘুমাও। তবেই বাঁচবে দীর্ঘদিন। বিশ্রাম করতে হবে।’ জানা গেছে, ওকাওয়া দিনে তিনবার পরিপূর্ণ খাবার খান। আর রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমান।
ওকাওয়ার ১১৬তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে একটি নার্সিং হোমে। তাঁর জন্মদিনে জাতীয় গণমাধ্যমের কর্মীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে টিভি ক্যামেরার ভিড় জমবে।
ওকাওয়া জানিয়েছেন, কাল একটি কেক কাটা হবে। তিন সংখ্যার জন্য থাকবে তিনটি মোম। তবে বেশি মোম থাকবে না। কারণ তা বিপজ্জনক। জাপানি নারীদের গড় জীবনকাল ৮৫ দশমিক ৯ বছর। আর পুরুষের গড় আয়ুষ্কাল ৭৯ দশমিক ৬ বছর।