পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থান করে যে নক্ষত্র তার নাম সূর্য। নক্ষত্র জন্মের প্রথমে একটি গ্যাস এবং ধুলার মেঘের আকার নেয়। বেশির ভাগ নক্ষত্রই ১ থেকে ১০ বিলিয়ন বছরের পুরোনো। এযাবৎ আবিষ্কৃত সবচেয়ে পুরোনো নক্ষত্রটির নাম HE 1523-0901। এটি ১৩ দশমিক ২ বিলিয়ন বছরের পুরোনো। যেসব নক্ষত্রের অভিকর্ষ বল বেশি, সেসব দিন দিন ছোট হবে এবং কালক্রমে এটি ব্ল্যাকহোলে পরিণত হবে। নক্ষত্রের রং দেখে এর প্রকৃতি জানা যায়। নীল রঙের নক্ষত্রগুলো উত্তপ্ত এবং লাল রঙের নক্ষত্রগুলো সাধারণত শীতল হয়। কোনো কোনো নক্ষত্র আমাদের সূর্যের চেয়ে ছয় লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল হয়ে থাকে। আদিকালে নক্ষত্রকে স্বর্গীয় এবং অপরিবর্তনীয় মনে করা হলেও চৈনিক জ্যোতির্বিদরা প্রথমে বুঝতে পেরেছিলেন, নতুন নতুন নক্ষত্রের উদ্ভব হতে পারে। ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী জেমিনিয়ানো মোনতানারি ১৬৬৭ সালে প্রথম নক্ষত্রের আলোর পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন। এডমন্ড হ্যালি সর্বপ্রথম আমাদের কাছাকাছি অবস্থিত এক জোড়া স্থির নক্ষত্রের সঠিক গতি পরিমাপ করে তা প্রকাশ করেছিলেন। পৃথিবী থেকে একটি নক্ষত্রের সঠিক দূরত্ব প্রথম পরিমাপ করেন ফ্রেডরিক বেসেল ১৮৩৮ সালে। উইলিয়াম হার্শেল নামের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী আকাশে নক্ষত্রের অবস্থান নিয়ে গবেষণা করেন। উইকিপিডিয়া অবলম্বনে: সামসুল আলম