ইদানীং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও বাংলার তরুণ-যুবকদের যৌথ প্রযোজনায় বিভিন্ন শব্দের অর্থ এমন গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে যে যার সঙ্গে প্রবীণসমাজ তাল মেলাতে পারে না। ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয় গুরুতর ভুল বোঝাবুঝির। এ রকম কিছু দৃশ্যের কথা ভেবেছেন ভাসা–ভাসা ভাষাবিদ জাহিদ হাসান

জটিল
পরীক্ষা কেমন হইছে? একদম সত্যি কথা বলবি।
মম, এক্সাম জটিল হইছে... জট্টিইইইল!
ফাঁকিবাজ! পড়াশোনার বেলায় নাই আর প্রশ্নের দোষ যে জটিল হইছে! দাঁড়া, তোর বাবা আজ আসুক।
অস্থির
ভাইয়ার জন্য হবু ভাবি কেমন দেখে এলি রে ভাই?
উফ্! দাদি, কী আর বলব! পুরাই অস্থির!
ছেলেপক্ষ দেখতে গেলে মেয়েপক্ষ তো অস্থির হবেই। তা কেমন দেখলি সেটা আগে বল না।
কুল
তো বাবা, নতুন ভার্সিটি কেমন লাগতেছে?
ওয়াও! চাচা, ইটস্ সো কুল।
ও তার মানে এসি লাগানো সবখানে? সাবধানে থাকবা, আবার নিউমোনিয়া বাধায়ে বইসো না।
ক্রাশ
আর কইস না, জসিম যাইতেছিল বাইকে। রাস্তার ধারে তামান্না দাঁড়ায়া ছিল; দেইখা এমন ক্রাশ খাইছে, কয় যে বাঁচব না...হি হি হি!
অমানুষ! সিরিয়াস অ্যাকসিডেন্টের খবরে কেউ হাসে? এখনই হাসপাতালে ছেলেটাকে দেখতে যা।
ডেট
আঙ্কেল, আমাকে চিনবেন না। আপনার হবু পুত্রবধূর সঙ্গে বহুদিন ডেট করেছি। এখন জানলেন; সুতরাং ছেলের বিয়ের ব্যাপারে আবার ভেবে দেখুন।
অ্যাঁ? বিয়ার ডেট? অবশ্যই, তোমাগো সুবিধামতো করার চেষ্টা করমু, নাইলে তো বিয়া জমব না।
বিবিধ
ওএমজি! কাম অন বাডি, বিএফ-জিএফ আর আইডিয়াল হাবি-ওয়াইফি এক জিনিস না। ক্রাশ...ব্রেক আপ...বক বক।
আজকালকার বাচ্চারা কত কিছু শেখে, দেখেছেন? কী বলছে, এক-বর্ণও বুঝলাম না!
নিশ্চয়ই সৃজনশীল পড়ালেখার বিষয়।