ফটিকছড়ি ভূমি কার্যালয়ে নামজারিতে ভোগান্তি

ফটিকছড়ি উপজেলা ভূমি কার্যালয়ে জমির নামজারি করতে এসে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। ফলে খাজনা পরিশোধ করতে পারছে না অনেকে। একই কারণে জমি বেচাকেনাও অনেকটা বন্ধ হয়ে আছে।
উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফজাল আহমেদ চট্টগ্রাম নগরে বদলি হয়ে যান। এরপর প্রধান সহকারীর পদটিও খালি হয়ে যায়। অফিস সহকারীর চারটি পদের বিপরীতে রয়েছেন তিনজন। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে করণিকের একটি পদও শূন্য রয়েছে। ফলে জনবলসংকটের কারণে নামজারিতে দেরি হচ্ছে।
সম্প্রতি ভূমি কার্যালয়ে গেলে
অিভযোগ জানান কয়েকজন ভুক্তভোগী। পৌর এলাকার বাসিন্দা বেদুরা বেগম (৪২) বলেন, ‘গত ১৪ মার্চ নামজারির জন্য আবেদন করেছিলাম। এখনো নামজারি হয়নি।’ আমান বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ আজিজুল হক (৪৯) জানান, জমির নামজারির জন্য দুই মাস ধরে তিনি ঘুরছেন। আজ হচ্ছে, কাল হচ্ছে বলে সময় পার করছে।
দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা পীযূষ কান্তি পাল (৩২) জানান, একই কাজে তিনি এক মাস ধরে নিয়মিত ভূমি অফিসে আসা-যাওয়া করছেন। কখন কাজটি সম্পাদন হবে তার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন জানান, জমির নামজারি না হওয়ায় জরুরি প্রয়োজনে তাঁরা জমি বিক্রি ও খাজনা পরিশোধ করতে পারছেন না। ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী মুহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন জানান, সহকারী কমিশনার (ভূমি), প্রধান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে লোক না থাকায় জমির নামজারি বিলম্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় ১ হাজার ৩৫০টি নামজারির মোকদ্দমা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
লোকবল নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দ্রুত এসব শূন্য পদে লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য জেলার সমন্বয় সভায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শিগগিরই একজন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।