ভিডিও গেমস—আধুনিক পৃথিবীর কিশোর-কিশোরীদের কাছে জনপ্রিয় এক বিনোদনমাধ্যম। এর যাত্রা শুরু হয়েছিল গত শতকের মাঝামাঝিতে। ‘বার্টি দ্য ব্রেইন’ নামের চার মিটার উচ্চতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেই গেমটি তৈরি করেছিলেন কানাডার নাগরিক জোসেফ কেটস।
এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৫১ সালে ‘নিম্রোড’ নামে একটি কম্পিউটার তৈরি এবং দেখানো হয় যুক্তরাজ্যের একটি উৎসবে। এই কম্পিউটার দিয়ে ‘নিম’ নামের ভিডিও গেম খেলা যেত। সেই শুরু। এরপরের সদা পরিবর্তনশীল চিত্র তো পৃথিবীবাসী প্রত্যক্ষ করে চলেছে আজও। প্রযুক্তির অভাবনীয় উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে এই ভার্চ্যুয়াল জগৎ যেন বর্তমান পৃথিবীর শিশু-কিশোরদের অভিন্ন খেলার মাঠ হয়ে উঠেছে।
ভিডিও গেম নিয়ে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে নানা মতামত। তবে এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই যে ইতিবাচক কিছু দিকের পাশাপাশি এর রয়েছে চিন্তিত হয়ে ওঠার মতো অনেক নেতিবাচক দিক। একাকিত্ব দূরীকরণ, তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা, বৈশ্বিক যোগাযোগ তৈরি, দলগত কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন, সমস্যা সমাধানে মেধার সূক্ষ্ম ব্যবহার, চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রভৃতি ইতিবাচক দিক রয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত গেম আসক্তি দীর্ঘ মেয়াদে জীবনের জন্য যে ভীষণ ক্ষতিকর, এ কথা বিনা তর্কে স্বীকার করেন সবাই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তো ইন্টারন্যাশনাল ক্ল্যাসিফিকেশন অব ডিজিজ ১১তম সংশোধিত সংস্করণে (আইসিডি-১১), গেম আসক্তি বা গেমিং অ্যাডিকশন হিসেবে একে রীতমতো মনোস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ২০১৮ সালের জুন মাসে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর ভিডিও গেমস দিবস। গত শতকের ৯০ দশকের গোড়ার দিকে দিবসটি পালিত হতো ৮ জুলাই। ১৯৯৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এটি ১২ সেপ্টেম্বর পালিত হওয়া শুরু হয়।
সূত্র: ডে’জ অব দ্য ইয়ার