গুণাগুণ

মুখীকচুর মুখরতা

মুখীকচু
মুখীকচু

মুখীকচু শুধু পুষ্টি পূরণ করে না, রোগ প্রতিরোধেও ভূমিকা রাখে। এই সবজিটি নিয়ে জানতে চাইলে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার বলেন, মাত্র ১০০ গ্রাম কচুতে থাকে ২৬৬ ক্যালরি। এ ছাড়া আছে আমিষ ১.৮ গ্রাম, শর্করা ৩২.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম। মুখীকচুতে রয়েছে প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন আর খনিজ। মুখীকচুর বহুমুখী গুণ এবার জানা যাক—

হজমশক্তি বাড়াবে
মুখীকচুতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য আঁশ থাকে। এটি হজম প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক। এই খাদ্য আঁশের কারণে কম খেলেও দীর্ঘ সময় খিদে পায় না।

পাকস্থলী পরিষ্কারক
এই সবজিতে থাকা আঁশ হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, পাকস্থলীকে খালি করে দেয়। সেই সঙ্গে পাকস্থলীর পরিচ্ছন্নতার কাজও করে।

হৃদ্স্বাস্থ্যের জন্য
এর উপাদানগুলো হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিকে সবল ও সচল রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন ই-এর প্রয়োজনীয়তার ১৯ শতাংশ পূরণ করে এই সবজিটি।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস
মুখীকচুতে আছে ভিটামিন সি। এক কাপ মুখীকচু শরীরের ভিটামিন সি-এর চাহিদার ১১ শতাংশ পূরণ করে থাকে। এভাবেই সবজিটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

বয়স বাড়তে বাধা
এই সবজিটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ। ভিটামিনের মধ্যে এ, সি, বি, এবং কপার, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন ছাড়াও আছে বেশ কিছু উপাদান। এগুলো প্রতিনিয়ত কোষের সুরক্ষা দেয় এবং তারুণ্য ধরে রাখে।
গ্রন্থনা: সিদ্ধার্থ মজুমদার