রুমীর চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন শাফী ইমাম রুমী, যিনি একাত্তরের দিনগুলির লেখক শহীদজননী জাহানারা ইমামের সন্তান। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজের ভবিষ্যতের কথা না ভেবে রুমী ভেবেছেন দেশের কথা। যুদ্ধে গেছেন, শহীদ হয়েছেন। দেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনুভব করা যায় ১৯৭১ সালের ১৬ জুন, মামা সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাশাকে লেখা চিঠিতে। ইংরেজিতে লেখা সেই চিঠি ও চিঠির অনুবাদ সংকলিত হয়েছে প্রথমা থেকে প্রকাশিত একাত্তরের চিঠি বইয়ে।
আগরতলা
১৬ জুন, ’৭১
প্রিয় পাশা মামা,
অবাক হয়ো না! এটা লেখা হয়েছিল আর তোমার কাছ পর্যন্ত পৌঁছালোও। পড়ার পর চিঠিটা নষ্ট করে ফেলো। এ নিয়ে আম্মাকে কিছু লিখে জানানোর চেষ্টা কোরো না। তাহলে তাদের বিপদে পড়তে হবে।
তাড়াহুড়া করে লিখলাম। হাতে সময় খুব কম। বেস ক্যাম্পের উদ্দেশে কাল এখান থেকে চলে যেতে হবে।
আমরা একটা ন্যায়সংগত যুদ্ধ লড়ছি। আমরা জয়ী হব। আমাদের সবার জন্য দোয়া কোরো। কী লিখব বুঝতে পারছি না—কত কী নিয়ে যে লেখার আছে। নৃশংসতার যত কাহিনি তুমি শুনছ, ভয়বহ ধ্বংসের যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য। ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করেছে, মানব-ইতিহাসে যার তুলনা নেই। আর নিউটন আসলেই যথার্থই বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।
জানি না আবার কখন লিখতে পারব। আমাকে লিখো না। সোনার বাংলার জন্য সর্বোচ্চ যা পারো কোরো।
এখনকার মতো বিদায়।
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাসহ
রুমী
আরও পড়ুন
-
মানুষের হাত-পা কেটে নিজেই ‘অস্ত্রোপচার’ করতেন মিল্টন সমাদ্দার: ডিবি
-
ট্রেনের এলোমেলো সূচি আজও পুরো স্বাভাবিক হয়নি, দেরিতে যাত্রা রংপুরে
-
শুক্রবার ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি, ভুল করে ফেসবুকে পোস্ট হয়েছিল: মন্ত্রণালয়
-
৩৩৫ রোগীকে চিকিৎসাপত্র দেওয়ার পর জানা গেল তিনি ভুয়া চিকিৎসক
-
ইজারার পুরো টাকা না দিয়েই গাবতলী পশুর হাট দখল, হাসিল আদায় ডিপজলের