সংস্কৃতি সংবাদ

সঞ্চারীর নাচের ছন্দ

কখনো রবীন্দ্র, কখনো লোকজ। ছিল আধুনিক ও কোলাজ গানের সঙ্গে নৃত্য। নূপুরের নিক্বণে প্রায় দুই ঘণ্টা দর্শকদের মধ্যে মুগ্ধতার আবেশ ছড়ায় সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমির শিল্পীরা। সংগঠনের অষ্টম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজন করা হয় ‘নৃত্যে বিভঙ্গে’ শিরোনামে নাচের অনুষ্ঠান।
গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম (টিআইসি) মিলনায়তনে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শিল্পী আহমেদ নেওয়াজ। সংগঠনের পরিচালক স্বপন বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফী। অতিথি ছিলেন চ্যানেল আই চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান চৌধুরী ফরিদ ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ।
কথামালায় বক্তারা বলেন, নাচ হলো প্রাচীনতম ও সবচেয়ে সৃজনশীল অভিব্যক্তি। সঞ্চারী নৃত্যকলা একাডেমি এই আবহমান ধারাকে রেখেছে। যোগ্যতা প্রমাণে নিয়েছে সাহসী পদক্ষেপ। নৃত্যের গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে নতুন ও সৃষ্টিশীল কাজ উপহার দিয়ে চলেছে। আধুনিক ঘরানার নৃত্য চর্চার মাধ্যমে এই সংগঠন সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আরও ভূমিকা রাখবে।
কথামালার পরে নাচের নৈপুণ্যের জন্য পুরস্কৃত করা হয় সংগঠনের তিন শিল্পী ইরানা পারভিন, তাজনুভা পারভেজ ও মৃত্তিকা বড়ুয়াকে। রবীন্দ্রনাথের ‘শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা গানের সঙ্গে মনমাতানো নাচ দিয়ে আসরের শুরু করেন একদল শিল্পী। এরপর ‘ছোড ছোড ঢেউ তুলি’ ও ‘মাঝি নাও ছাড়িয়া দে’ গানের সঙ্গে শিল্পীদের নাচ মুগ্ধ করে মিলনায়তন ভর্তি দর্শকদের। এ ছাড়া একক, দ্বৈত ও সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।