সুয়েজ খালের যাত্রা শুরু
খাল কেটে সত্যিই কেউ কুমির এনেছিল কি না, হলফ করে বলা কঠিন। তবে খাল কেটে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার প্রমাণ তো সুয়েজ খালই। আধুনিক নৌপরিবহন ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি মিসরের সুয়েজ খাল। খালটি নৌযান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় ১৮৬৯ সালের আজকের এই দিনে।
কৃত্রিম এই খাল ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে যুক্ত করেছে। খাল খনন করার আগে পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন দেশের জাহাজগুলোকে ভূমধ্যসাগর থেকে পুরো আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ উত্তমাশা অন্তরীপ পাড়ি দিয়ে আরব সাগর হয়ে ভারত এবং প্রশান্ত মহাসাগরে যেতে হতো। এই যাত্রা যে শুধু সময়সাপেক্ষ ছিল, তা-ই নয়, ছিল বিপজ্জনকও। আফ্রিকা মহাদেশ পাড়ি দেওয়ার সময় প্রায়ই ঝড়ের কবলে পড়ে জাহাজডুবির ঘটনা ঘটত।
এই সমস্যার সমাধানের জন্যই ১৮৫৪ সালে মিসরে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ফার্দিনান্দ দে লেসেপস (১৮০৫-১৮৯৪) মিসরের অটোমান গভর্নরের সঙ্গে আলাপ করেন। রাজি করান সুয়েজ অঞ্চলে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে যুক্ত করে ১০০ মাইল দীর্ঘ একটি খাল খননের জন্য। মিসরের গভর্নরের সম্মতিতে ১৮৫৬ সালে গঠিত হয় সুয়েজ ক্যানেল কোম্পানি। একদল দক্ষ প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে শুরু হয় সুয়েজ খালের নকশার কাজ।
প্রায় তিন বছর পর, ১৮৫৯ সালের এপ্রিল মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় খালটির খননকাজ, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ১৮৬৫ সালে। কিন্তু কলেরার প্রাদুর্ভাব ও শ্রমিক বিদ্রোহের কারণে কাজ শেষ হতে আরও চার বছর বেশি সময় লাগে। অবশেষে ১৮৬৯ সালের ১৭ নভেম্বর যাত্রা শুরু করে সুয়েজ খাল। তখন খালটির গভীরতা ছিল মাত্র ২৫ ফুট, প্রস্থে ছিল স্থানভেদে ২০০ থেকে ৩০০ ফুট। পরে জাহাজ চলাচল বাড়লে খালটির আকারও বাড়ে।
*হিস্ট্রি ডট কম অবলম্বনে
আরও পড়ুন
-
ইরানের প্রেসিডেন্টের খোঁজে চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান
-
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট–পররাষ্ট্রমন্ত্রীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না
-
মিরপুরে দিনভর বিক্ষোভ, পুলিশ বক্সে আগুন
-
হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে নিখোঁজ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দোল্লাহিয়ানকে নিয়ে আলোচনা
-
বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ইরানের হেলিকপ্টারটির কিছু ছবি