আয়োজন

সেরা রাঁধুনির খোঁজে

সেরা রাঁধুনি ১৪২২ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
সেরা রাঁধুনি ১৪২২ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সারা দেশ থেকে সেরা রন্ধনশিল্পী খুঁজে বের করতে চতুর্থবারের মতো স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড আয়োজন করছে ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২২’। মাছরাঙা টেলিভিশনে সুপরিচিত ব্র্যান্ড রাঁধুনীর নিয়মিত উদ্যোগ ‘সেরা রাঁধুনী’র আসর বসছে আবারও।
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের হলরুম ‘সুরমা’য় এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয় এবারের কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী। অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘দেশীয় রান্নার ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং সেটিকে ছড়িয়ে দিতে এ আয়োজন। এবার এমন একজন রন্ধনশিল্পী খুঁজে বের করার চেষ্টা থাকবে, যিনি শুধু সুস্বাদু রান্না পরিবেশনেই দক্ষ হবেন না, বরং একই সঙ্গে বুদ্ধিদীপ্তভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে তাঁর রেসিপির বিপণনেও পারদর্শী হবেন।’
গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতার নিবন্ধন চলে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ১৮ বছরের বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি নারী-পুরুষ এতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। প্রাথমিকভাবে সারা দেশ থেকে প্রায় ছয় হাজার রেসিপি জমা পড়ে। সেখান থেকে বাছাই করা হয় এক হাজার রেসিপি। সারা দেশকে মোট সাতটি বিভাগীয় অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৫০ জনকে নির্বাচন করা হয় ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতায় ৫০ জন থেকে বিজয়ী ২৮ জনকে নিয়ে শুরু হয় গ্রুমিং রাউন্ড। সেখান থেকে ১৮ জনকে বেছে নিয়ে মূল স্টুডিও রাউন্ড শুরু হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এমনি করে পর্যায়ক্রমে প্রতিযোগিতার নানা ধাপ পেরিয়ে নির্বাচিত হবেন সেরা রাঁধুনি। পুরস্কার হিসেবে প্রথম বিজয়ী পাবেন ১৫ লাখ টাকা। প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ পাবেন যথাক্রমে ১০ লাখ ও পাঁচ লাখ টাকা। বর্তমানে প্রতিযোগিতার পর্বগুলো এগিয়ে চলছে সেরা ১০ রাঁধুনিকে নিয়ে। ধারণ করা এই অনুষ্ঠানটি মাছরাঙা টেলিভিশনে সম্প্রচার হচ্ছে প্রতি শুক্র ও শনিবার রাত নয়টায়।

সেরা ১০ জনের মধ্যে আছেন সাবিনা সিরাজী, শায়লা ইয়াসমিন, সাইফা আলম, তানিয়া জামান, আমিনা আল রেশমা, দিলরুবা বেগম, তাপসী মরিয়ম, জেনিভা তাসমিম, মনিরুল ইসলাম ও অভিরূপ কুমার সিংহ। বিচারকের দায়িত্বে আছেন রন্ধন ও আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা ও একসময়ের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রধান শেফ শুভব্রত মৈত্র। বিচারকের মধ্যে রাহিমা সুলতানা বলেন, ‘সেরা রাঁধুনির যাত্রা শুরু হয় বাংলা ১৪১২ সালে। তখন বিচারকের দায়িত্বে আমার সঙ্গে আরও ছিলেন রান্নাবিদ সিদ্দিকা কবীর ও কেকা ফেরদৌসী। তবে চতুর্থবারের এই আয়োজন আগেরগুলোর তুলনায় একটু ভিন্ন। শুধু রান্নাই নয়, এর পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবেও একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা থাকবে এবার। তাতে করে তিনি নিজে যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি তাঁর দ্বারা সমাজের আরও ১০ জনও আর্থিকভাবে উপকৃত হবেন।’
অনুষ্ঠানটি নিয়ে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের বিপণন প্রধান ইমতিয়াজ ফিরোজ বলেন, ‘কেবল খাবার রান্না করার দক্ষতাই নয়, একই সঙ্গে বৈচিত্র্যময় রান্নার পরিবেশন, রেসিপির বিপণন-বিক্রয় দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ ও বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনে পারদর্শী হয়ে উঠবেন রাঁধুনিরা। সেই সঙ্গে রন্ধনশিল্পকে কাজে লাগিয়ে একেক জন হয়ে উঠবেন সফল উদ্যোক্তা, এমনটাই আশা আমাদের।’