Thank you for trying Sticky AMP!!

স্নানঘরের ফিটিংস হওয়া চাই ঠিকঠাক

স্নানঘরের গান

স্নানঘর বা বাথরুমে আমরা নিজের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাই। তাই বাথরুমেই নাকি পাওয়া যায় গৃহকর্তার প্রকৃত রুচির পরিচয়। বাথরুমের রং, টাইলস, বেসিন, কমোডসহ বিভিন্ন উপকরণে ফুটে ওঠে সেই পরিচয়। তবে ঘরের সার্বিক অবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই আপনার স্নানঘরটিকে সাজাতে হবে।

বেসিন, কমোড, বাথটাব, কল, শাওয়ার—একসঙ্গে বাথরুমে অনেক কিছু থাকে। তাই এ উপকরণগুলো কেনার আগে বিশেষজ্ঞ কারও সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

বেসিন

বেসিন কোথায় লাগাবেন, তার ওপর নির্ভর করছে, কী রকমের বেসিন লাগাবেন। আগে শুধু সিরামিকের বেসিনের চল ছিল, তারপর আসে স্টিলের বেসিন। আর এখন তো বিভিন্ন ধরনের বেসিন পাওয়া যায়। বেসিন সাধারণত দুই ধরনের হয়, প্যাডেস্টাল বা স্ট্যান্ড এবং ক্যাবিনেট। শুধু বেসিন টপও পাওয়া যায়, যেটা গ্রানাইট, মার্বেল, কাঠ কিংবা অন্য কিছুর ওপর সেট করে দেওয়া যায়।

বেসিন আছে নানা রকম

বাথরুমে স্ট্যান্ড বেসিন লাগানোর দরকার পড়ে না, বরং বেসিনটা মার্বেল বা গ্রানাইট টপের ওপর বসালেই চলে। বেসিন টপের আশপাশে একটু জায়গা পাওয়া গেলে ভালো। দরকারি অনেক জিনিসপত্র রাখা যায়। বাথরুমের বেসিনের ওপর একটা আয়না অবশ্যই যেন থাকে। সরাসরি দেয়ালে না লাগিয়ে আয়নাটা ফ্রেম করে বা প্লাইয়ের ওপর সেট করে লাগানো দরকার। আয়নার চারপাশে অর্থাৎ বেসিনের ওপরের দিকের দেয়াল টাইলস কিংবা গ্রানাইট টাইলস দিয়ে সাজিয়ে তুলুন। বাথরুমের বেসিনের জন্য ক্যাবিনেট বেসিনও লাগানো যায়। দরকারি স্টোরেজের কাজ করে। সবচেয়ে ভালো হয় কাঠ বা প্লাই দিয়ে ক্যাবিনেট বেসিন বানিয়ে নিলে। তবে ক্যাবিনেট বানালে বাথরুমের শাওয়ার কিংবা গোসলের পানি যাতে ছিটে না পড়ে, তার দূরত্বটার দিকে লক্ষ রেখে তবে বানাবেন।

এখন বেশি চলছে সিরামিক বেসিন। পাওয়া যাচ্ছে গোল, চৌকো, আয়তক্ষেত্র, এমনকি ডিম্বাকৃতি বেসিনও। কাচ কিংবা পোড়ামাটির ল্যাকার দেওয়া বেসিনও আছে। তামা কিংবা পিতলের মুখ চওড়া হাঁড়ি কিংবা ছোট কড়াইকেও খুব সুন্দর করে বেসিন বানিয়ে দেওয়া যায়। মান, আকৃতি ও ডিজাইনের ওপর বেসিনের দাম ১ হাজার থেকে ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে।

কমোড

বাথরুমের আরও একটি দরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো কমোড। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাথরুমের উপকরণগুলোর মধ্যে আকার, নকশা, ডিজাইন ও রঙে কমোডেই বৈচিত্র্য রয়েছে সবচেয়ে বেশি। বাজারে মূলত দুই ধরনের কমোড বিক্রি হয় বেশি। হাই আর লো। রাজধানী ও শহরগুলোতে হাই কমোডের চাহিদা বেশি আর গ্রামে লো।

কমোডের আছে নানা স্টাইল

বাজারে সাদা আর ধূসর রঙের কমোডই পাওয়া যায় বেশি। তবে বাথরুমের টাইলসের কালারের সঙ্গে মিলিয়েও অনেকে কমোড নিয়ে থাকেন। বাথরুমের আকারের সঙ্গে মিল রেখে কমোডের সাইজ ঠিক করা উচিত। রাজধানীর আলুবাজারের মায়ের দোয়া স্টাইলস অ্যান্ড স্যানিটারির স্বত্বাধিকারী সিপু ব্যাপারী জানান, বর্তমানে ওয়েস্টার্ন কমোডের চাহিদা বেশি। এ কমোডগুলো মেঝের সঙ্গে সেট করা যায়। পেছনের দেয়াল ৫ ইঞ্চি হলেই হয়। এতে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা সহজ ও অল্প পরিসরে স্থাপন করা যায়।

লো কমোডের চেয়ে হাই কমোডে ফ্লোর বেশি পরিষ্কার থাকে। একই সঙ্গে হাই কমোড পেশিতে টান না দিয়ে বসা যায়। বয়স্কদের বসতে সুবিধা হয়। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য হাই কমোড সুবিধাজনক। দেশের পাশাপাশি ভারত, নরওয়ে, ইতালি, তুরস্ক ও ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ থেকে মার্বেল ও গ্রানাইটের কমোডও আমদানি করা হয়। আমদানি করা কমোডের চাহিদাই দেশে বেশি। দেশি কমোডের চেয়ে আমদানি করা কমোডের দাম বেশি। দেশি কমোডের দাম ৫০০ থেকে ৯ হাজার টাকা। আর আমদানি করা কমোডের দাম ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।