ধন মিয়া বিডি
হিংসে হয়? আমার মতো হতে চাও?
ওয়েলথ এক্স-এর রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে এত এত অভিনন্দন পাচ্ছি
যে আমি অভিভূত! এ কয়দিনে বেশ ঝামেলা গেছে। পত্রিকা-টিভি চ্যানেলগুলোকে
ইন্টারভিউ দিতে দিতে ফুরসতই পাচ্ছিলাম না ফেসবুকে আসার। আমার ফেসবুক
ফ্রেন্ডস-ফলোয়ারদের কাছে তাই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ইনবক্সে প্রচুর মেসেজ
জমে আছে। কাউকেই রিপ্লাই দেওয়া হয়নি। আই অ্যাম রিয়েলি সরি। আপনাদের সবার
জন্য ভালোবাসা। তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি দেশের নাগরিক হয়েও যে আমি
আজকে পৃথিবীর অল্পসংখ্যকের মধ্যে একজন উদীয়মান আলট্রা ওয়েলদি—এটা
আপনাদেরই দোয়া আর ভালোবাসার ফসল। ইনবক্সে আমার সাফল্যের রহস্য, টাকার গাছ লাগানোর উপায়, কীভাবে অল্প সময়ে টাকার কুমির হওয়া যায় ইত্যাদি জানতে চেয়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, ‘ভাইয়া, আঙুল ফুলে তালগাছ ক্যামনে হব?’ কিছু কথা তাই বলা প্রয়োজন মনে করছি।
‘ওয়ার্ল্ড আলট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৮’-তে অতি ধনীর উত্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বর দেখে যাদের চোখ কপালে উঠেছে, তাদের বলি, এটা মোটেও অননুমিত নয়। আমরা কিছু স্বপ্নবাজ মানুষ অনেক দিন থেকেই তলেতলে এটা নিয়ে কাজ করছিলাম। আর তারই ফল দিনাজপুরে বাতাবিলেবুর মতো আজকে দেশে ধনকুবেরদের বাম্পার ফলন। অন্যদের কথা বলতে পারি না, কিন্তু ছোটবেলা থেকেই আমার ‘বড়লোক’ হওয়ার অদম্য ইচ্ছা ছিল। স্পষ্ট মনে আছে, যেদিন মাই এইম ইন লাইফ রচনায় আমি ‘আই ওয়ান্ট টু বি আ ধনকুবের’ লিখেছিলাম, স্যারসহ ক্লাসের সবাই হো হো করে হেসেছিল। কিন্তু আমি দমে যাইনি। নিজের ইচ্ছা, সাহস আর চিকনবুদ্ধি দিয়ে আজ আমি ঠিকই পেরেছি আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। স্বপ্ন জয়ে আমার পাশে পরম মমতার আশ্রয় হয়ে যারা ছিল, তাদের সবার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আমাদের এই দেশটা হয়তো যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানির মতো এত সম্পদশালী নয়। কিন্তু আমাদের এই দেশেই আছে ‘চাহিবামাত্রই গ্রাহককে দেদারসে দিতে বাধ্য থাকিব’ নীতিতে বিশ্বাসী কিছু উদারমনা ব্যাংকার। আছেন ‘নয়ছয়ে দক্ষ’ একদল নিবেদিতপ্রাণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আমাদের আছে একটি আপন শেয়ারবাজার। এরা প্রতিনিয়ত তোমার ‘অতি ধনী’ হওয়ার স্বপ্নের পালে বাতাস দেবে। উসকে দেবে তোমার বেহিসেবি বড়লোক হওয়ার ইচ্ছাকে। তবে চাইলেই যে রাতারাতি তুমি টাকার কুমির কিংবা ঝাঁকড়া টাকার গাছের মালিক হয়ে যাবে, ব্যাপারটা তেমন নয়। তোমাকে প্রচুর চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করতে হবে। এই পথে না এলে বুঝতামই না কতটা নেস্টি পথ এটা। দুইটা পয়সা হলেই তোমার পেছনে ছোঁক ছোঁক করবে কুদক। তোমার দিকে আঙুল তুলবে হলুদ মিডিয়া। আরও আছে তোমার আশপাশের হিংসুটে মানুষজন। এরা তোমার সমালোচনা করবে, তোমাকে থামিয়ে দিতে চাইবে। তোমার বিবেক, সততা তোমাকে কুটকুট করে কামড়াবে। যদি তুমি ভয় পাও, তবে তুমি ফিনিশ। যদি থোড়াই কেয়ার করে এগিয়ে যাও, তবেই তুমি একটা ‘জিনিস’। যা-ই ঘটুক না কেন, তোমাকে লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।
মনে রাখবে, তুমি আর দশজনের মতো স্বাভাবিক নও, তুমি অবশ্যই এবনরমাল! আরও
মনে রাখতে হবে, এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ, ওয়ার অ্যান্ড মানি মেকিং। স্বপ্নজয়ের এই যাত্রায় তোমাকে স্বাগত।
জীবন একটাই। সিদ্ধান্ত তোমার। গরিবের মধ্যে গরিব, ছোটলোকের মধ্যে আরও
বেশি ছোটলোক নাকি বড়লোকের মধ্যে বড়লোক, ধনীর মধ্যে অতি ধনী? কুবের নাকি ধনকুবের?—কোনটা হতে চাও?
Jeff Bezos: লাস্ট লাইনটা উফফ, জাস্ট টাচড দ্য হার্ট।
Bill Gates: লাভ ইউ গুরু। স্বপ্ন দেখি একদিন আপনার মতো হব।
Warren Buffett: ভাই, শেয়ার করতে পারি? (প্লিজ চেক ইনবক্স।)
Carlos Slim Helu: প্রেরণার আরেক নাম ধন মিয়া ভাই।
Amancio Ortega: বাংলাদেশ থেকে আগামীবার শীর্ষ ধনী দেখতে চাই।
Elon Musk: ‘জীবন একটাই। সিদ্ধান্ত তোমার। গরিবের মধ্যে গরিব, ছোটলোকের মধ্যে আরও বেশি ছোটলোক নাকি বড়লোকের মধ্যে বড়লোক, ধনীর মধ্যে অতি ধনী? কুবের নাকি ধনকুবের?—কোনটা হতে াও?’...এপিক। ক্যামনে পারেন ভাই?
Mukesh Ambani: লেখাটা পড়ে খুবই ভালো লাগল। বেশ কিছুদিন ধরেই এমন একটা লেখা লিখব ভাবছিলাম। ভালোবাসা ভাই। (ইনবক্স দেখেন)
লেখা: শরীফ মজুমদার