
১. দক্ষিণ সেনেগালের পশ্চাৎপদ গ্রামটার নাম বাম্বালি। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, গ্রামটির ৭০ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ১৯৯২ সালের ১০ এপ্রিল গ্রামটার দরিদ্র এক পরিবারে তাঁর জন্ম।
২. বাবা ছিলেন মসজিদের ইমাম। বাবার মৃত্যুর পর পরিবার থেকে ফুটবল খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আসে। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্নে বিভোর কিশোর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরে মায়ের সঙ্গে এই চুক্তিতে বাড়ি ফিরে আসেন যে খেলার পাশাপাশি তিনি প্রাতিষ্ঠানিক ও ধর্মীয় পড়াশোনা সমানভাবে চালিয়ে যাবেন। কিন্তু ১৫ বছর বয়সেই আবার বাড়ি থেকে পালিয়ে চলে আসেন সেনেগালের রাজধানী ডাকারে। এরপর থেকেই জীবনের গতিপথ বদলে যেতে থাকে। পরিবারও তাঁর খেলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়।
৩. ২০১৪ সালে সবচেয়ে দামি ফুটবলার হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাদাম্পটন ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর ২০১৬ সালে ৩৪ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুলে চলে আসেন। এর মধ্য দিয়ে আফ্রিকার সর্বকালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলাদের একজন হিসেবে তিনি ইতিহাসে জায়গা করে নেন।
৪. প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এখনো তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে। ২০১৫ সালের ১৬ মে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে মাত্র ২ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের মধ্যে তিনটি গোল করেন।
৫. তাঁর বাড়িতে দুবার চুরি হয়। ২০১৭ সালে ও ২০১৯ সালে—দুবারই চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলা চলাকালে। পুলিশের ভাষ্যমতে, চুরিতে মুঠোফোন, গাড়ির চাবি ও ঘড়ি খোয়া যায়।
৬. বিশ্বের অন্যতম দামি ফুটবলার হওয়া সত্ত্বেও বেশ অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেন। সুযোগ পেলেই নিজ গ্রামের মানুষদের কাছে চলে যান। দারিদ্র্যপীড়িত গ্রাম বাম্বালিতে কোনো হাসপাতাল ছিল না। ২০২১ সালে সেখানে হাসপাতাল বানিয়ে দিয়েছেন। স্কুল নির্মাণ, মসজিদ মেরামতের জন্য প্রচুর অর্থ দান করেন। করোনাকালে নিজ দেশের মানুষদের সহায়তার জন্য দান করেছেন মোটা অঙ্কের তহবিল।
৭. এই তিনি সেনেগালের ফুটবলার সাদিও মানে।
ডিসকভার ওয়াক্স, স্পোর্টস লাইট অবলম্বনে