
ঝকমকে পোশাক, দামি অনুষঙ্গ কিংবা বিলাসবহুল গাড়ি দেখে সহজেই কারও সম্পদের ধারণা পাওয়া যায়। কে কত খরুচে ভ্রমণে গেলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটে সেটিরও বহিঃপ্রকাশ। তবে এমনও অনেকে থাকেন, ধনী হওয়া সত্ত্বেও যাঁরা নিজেদের ধনী হিসেবে প্রকাশ করতে চান না। অবশ্য তাঁদের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে, যা থেকে আপনি অনুমান করতে পারবেন যে আপনার সামনের মানুষটি ধনী।
দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক না পরলেও সত্যিকার ধনীদের একটু আলাদা দেখায়। একটা বিশেষ ধারা দেখা যেতে পারে তাঁদের পোশাক বা অনুষঙ্গে। ঠিক অন্য সবার মতো নন তাঁরা। আর তাঁরা ব্যবহার্য জিনিসের গুণগত মানের সঙ্গে কখনো আপস করেন না।
কথায় বলে, টাকায় টাকা আনে। তাই যাঁরা সত্যিকার ধনী, তাঁদের টাকার পেছনে দৌড়াতে হয় না। সম্পদ বাড়ানোর কাজটিও তাঁদের জন্য কঠিন নয়। রোজকার কাজ সেরে তাঁরা জীবনকে উপভোগ করার সময় পান। সব সময়ই ‘ভীষণ তাড়া’য় থাকতে হয় না তাঁদের। আয়েশি সময়যাপন সম্ভব হয় তাঁদের পক্ষে।
ধনী ব্যক্তিরা কখনো জরুরি কোনো খরুচে পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। তবে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সেই খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকে না। তাঁদের তো আর অর্থের অভাব নেই। বিপদেও তাই ঠান্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয় তাঁদের জন্য। কারণ, তাঁরা সেরা সমাধানটি গ্রহণ করার মতো সামর্থ্য রাখেন।
সমাজের নানা শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন ধনীরা। কীভাবে একটা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হয়, সেটা জানেন তাঁরা। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে জীবনে নতুন নতুন সুযোগও আসে তাঁদের সামনে। বহু মানুষকে সঙ্গে নিয়ে বড় একটা কিছু গড়ে তুলতে সক্ষম হন তাঁরা। এমনকি বিপদের সময়ও প্রয়োজনীয় সব জায়গায় যোগাযোগ করতে পারেন সহজে।
একটা পোশাক বা গয়না যত দামিই হোক, সাধারণত তা দীর্ঘ মেয়াদে বিশেষ কোনো কিছু হয়ে ওঠে না। সত্যিকার ধনী ব্যক্তিরা বরং এমন কিছুতে খরচ করতে বেশি আগ্রহী থাকেন, যা তাঁদের সুস্বাস্থ্যের সহায়ক। কিংবা তাঁরা এমন কিছু কিনতে পারেন, যা তাঁদের মননশীলতার পরিচয় দেবে। দীর্ঘ মেয়াদে যা সম্পদ বাড়াবে, তাতে বিনিয়োগ করেন তাঁরা।
সূত্র: মিডিয়াম, ইয়াহু ফাইন্যান্স