ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়িটিতে আপনিও থাকতে পারবেন

কোনো বাড়ি তৈরি হয়েছে ছাদের ওপরে, কোনোটি আবার ভুতুড়ে। ইন্টারনেট ঘেঁটে এমন তিনটি মজার আবাসনের খোঁজ জানাচ্ছেন মো. জান্নাতুল নাঈম ও আবৃতি আহমেদ

ছাদের ওপরে বাড়ি

শপিং মলের ছাদে আস্ত বাড়ি
ছবি: সংগৃহীত

শপিং মলের ছাদে পুল, জিমসহ নানা আয়োজন থাকতে পারে। কিন্তু তাই বলে আস্ত বাড়ি? চীনা এক কোম্পানি এমনটাই ঘটিয়েছে ২০০৯ সালে। দেশটির হুনান প্রদেশের হেঙ্গইয়াং শহরের একটি শপিং মলের ছাদে রীতিমতো ২৫টি বিলাসবহুল ভিলা বা ছোট আকারের বাড়ি তৈরি করেছিলেন ডেভেলপাররা। ২০ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে তৈরি এসব ভিলা নির্মাণে সরকারের অনুমতি না থাকায় প্রাথমিকভাবে ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সরকার শর্ত জুড়ে দেয়, বিক্রি না করলে এগুলো থাকতে পারে। বিলাসবহুল এই বাড়িগুলো তখন থেকে কর্মী ও নির্মাণকাজে যুক্ত অভিবাসী শ্রমিকদের অস্থায়ী বাসস্থান। ছাদের ওপর এ রকম বাড়ির অস্তিত্ব চোখে পড়ে চীনের আরও কিছু এলাকায়। বলা হয়ে থাকে, চড়া দামের জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার ও গ্রাহকদের নতুনত্বের স্বাদ দিতে এগুলো নির্মিত হয়েছিল।

সূত্র ও ছবি: দ্য মাইন্ড সার্কেল ডটকম

ভুতুড়ে বাড়ি

ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়িটির নাম র‍্যাম ইন

গুগল সার্চ বলছে, ইংল্যান্ডের সবচেয়ে ভুতুড়ে বাড়িটির নাম র‍্যাম ইন। ইংল্যান্ডের গ্লস্টারশায়ারের ওটন-আন্ডার-এজে অবস্থিত বাড়িটির বয়স ৮৭৫ বছর। নির্মাণকাল ১১৪৫ খ্রিষ্টাব্দ। শুরুতে এখানে গির্জা নির্মাণে কর্মরত শ্রমিকেরা থাকতেন। পরে বাড়িটি পাদরির বাসস্থান ও সরাইখানা হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। কথিত আছে, বাড়িটি একটি প্রাচীন গোরস্থানের ওপর নির্মিত। এখানে অনেকেই ভূতের উপস্থিতি টের পেয়েছেন বলে শোনা যায়। শিশুদের হাসি-কান্নার শব্দ শুনেছেন তাঁরা। ভুতুড়ে ছায়ার তাড়াও নাকি খেয়েছেন অনেকে। ইনকিউবাস নামের একধরনের অশরীরী দানবের উপস্থিতিও টের পেয়েছেন কেউ কেউ। ১৯৪৮ সালে জন হামফ্রিজ বাড়িটি কিনে নিয়ে সেখানে অতিথিশালা চালু করেন। বর্তমানে এটি চালাচ্ছেন তাঁর মেয়ে।

সূত্র ও ছবি: বিবিসি

লেগো বাড়ি

৩৩ লাখের বেশি বড় বড় রঙিন লেগো ব্রিকস দিয়ে বাড়িটি তৈরি করা হয়েছিল

৩৩ লাখের বেশি বড় বড় রঙিন লেগো ব্রিকস দিয়ে বাড়িটি তৈরি করেছিলেন যুক্তরাজ্যের সারে অঞ্চলের বাসিন্দা জেমস মে। লেগো দিয়ে খেলতে ভীষণ ভালোবাসতেন তিনি। সেই ভালোবাসা থেকে ২০০৯ সালে প্রায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর সাহায্য নিয়ে খেলার ছলেই যেন এ বাড়ি তৈরি করেন তিনি। টয়লেট, গরম পানির শাওয়ার, সিঁড়ি, বিছানা—সবকিছুই লেগো দিয়ে তৈরি। তবে বাড়িটির অবস্থান ছিল স্থানীয় একটি আঙুরখামারের জমির ওপর। তাই বাড়িটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ জন্য দরকার ছিল প্রায় ৫০ হাজার ডলার। খরচ বইতে না পেরে বাড়িটা শেষমেশ খুলেই ফেলতে হয় জেমসকে।

সূত্র: ডেইলি মেইল