৭ মার্চ রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র খুলেছে আড়ং। তারপর থেকে সেখানে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগেই আছে। যাঁরা এখনো নতুন বিক্রয়কেন্দ্রটিতে ঢুঁ মারতে পারেননি, তাঁরা ভেতর ও বাইরের দৃশ্য দেখে নিন ছবিতে ছবিতে।
আবৃতি আহমেদ
আড়ংয়ের নতুন বিক্রয়কেন্দ্রের ভবনটি রাজধানীর ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কে।আড়ং কর্তৃপক্ষের দাবি, ৬০ হাজার বর্গফুট জায়গায় আটতলা ভবনটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কারুশিল্পের বিক্রয়কেন্দ্র।ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ৭ মার্চ শুক্রবার উদ্বোধনের দিন থেকেই ভিড় করছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। তাঁরা কেনাকাটার পাশাপাশি আগ্রহ নিয়ে ঘুরে দেখছেন বিক্রয়কেন্দ্রটি।ভবনের ভেতরে একপাশের দেয়ালের এই চিত্রশিল্পটি আদতে ‘মহারঙ্গ’ শীর্ষক নকশিকাঁথা। এর দৈর্ঘ্য ৪৪ ফুট। ২৫০ জন কারিগর প্রায় ছয় মাস সময় নিয়ে এই নকশিকাঁথা তৈরি করেছেন। সুই-সুতার নিপুণ কারুকাজের পাশাপাশি ব্যবহার করা হয়েছে পুরোনো কাপড়, অব্যবহৃত পুঁতি ও ফেলে দেওয়া অলংকারের টুকরা। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে গ্রামবাংলার নানা লোকগল্প ও সংস্কৃতির দৃশ্য। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় নকশিকাঁথা এটি, দাবি করছে আড়ং।বেজমেন্টে নামার সিঁড়ির মধ্যে জামভর্তি গাছগুলো আদতে প্লাস্টিকের। মৃৎশিল্পের দেয়াল দেখতে দেখতে নেমে গেলেই চোখে পড়বে নানা গৃহস্থালি পণ্য। প্রথম তলায় পাবেন আড়ং আর্থ ও ডেইরি পণ্য।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় তলায় আছে নারীদের গয়না এবং গয়নার বাক্স। আছে জুতা আর ব্যাগও।ফ্রেম করা নকশিকাঁথার চিত্রকর্ম।দ্বিতীয় তলার ওপরের দেয়ালে ঝোলানো তামার শিল্পকর্মটির নাম ‘আলকেমি’।নারীদের পোশাকে সাজানো হয়েছে তৃতীয় তলা। একই তলায় পাবেন ‘তাগা উইমেন’ ও ‘হারস্টোরি’ সেগমেন্টের পোশাক। গয়নার বাক্সের সংগ্রহ।চতুর্থ তলায় শিশুদের পোশাক, খেলনা, জুতা ইত্যাদির পাশাপাশি আছে বন থিমের একটা খেলার স্থান। সেখানে শিশুদের রেখে কেনাকাটা করতে পারবেন অভিভাবকেরা।ঘর সাজানোর নানা উপকরণ।
বিজ্ঞাপন
ছেলেদের পোশাক-আশাকের জন্য যেতে হবে পঞ্চম তলায়। পাঞ্জাবি, পায়জামা, কুর্তা, শার্ট, জুতা, মানিব্যাগ, বেল্ট—সবই পেয়ে যাবেন এই তলায়। ‘তাগা ম্যান’-এর পোশাক-আশাক চাইলে যেতে হবে ভবনটির ষষ্ঠ তলায়।কলাগাছের থিমে সাজসজ্জা।আড়ংয়ের অন্য সব বিক্রয়কেন্দ্রের তুলনায় এখানে গাছপালা বেশি।ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত—প্রতিটি কোণ সাজানো হয়েছে দেশি নকশায়। ঐতিহ্যবাহী নানা কারু, মৃৎ ও সূচিশিল্পে ভবনটি সাজিয়ে তুলতে সময় লেগেছে পাঁচ মাস। সপ্তম তলায় আছে ‘অরেঞ্জ প্যারট রেস্তোরাঁ’। অবশ্য এখনো তা চালু হয়নি। ভবনটিতে আছে গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা।ছাদের কারুকাজও চোখজুড়ানো।ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ক্রেতাদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত খোলা থাকছে বিক্রয়কেন্দ্রটি।