সারা দেশের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতেও লেগেছে বিশ্বকাপের হাওয়া। কেউ আবাসিক হল ছেয়ে ফেলেছেন নানা দেশের পতাকায়, কেউবা আয়োজন করছেন রম্য বিতর্ক। বিশ্বকাপ ঘিরে কোন ক্যাম্পাসে কী চলছে? জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস এখন ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দলের সমর্থকদের দখলে, এ কথা তো যে কেউ অনুমান করতেই পারেন। তবে জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগাল; এই দলগুলোরও সমর্থক আছেন। আমাদের এখানে বিশ্বকাপের আমেজ শুরু হয়েছে একটু দেরিতে। এর একটি কারণ সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আবার বছরের এই সময়টাতেই বেশির ভাগ বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা থাকে। বিশ্বকাপ ফাইনালের চেয়ে পরীক্ষার ফাইনাল নিয়ে তাই অনেকের দুশ্চিন্তা বেশি। তবে পরীক্ষার পাশাপাশি বিশ্বকাপরের জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে পুরোদমে। বিভিন্ন হলগুলো নতুন করে সেজেছে।
সবার আগে এই যজ্ঞ সম্পন্ন করেছে মাস্টারদা সূর্যসেন হল। হলে ঢুকতেই চোখে পড়বে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনার বিশাল পতাকা; দেয়ালে আঁকা মেসি–নেইমারের ছবি। হলের লবি ছেয়ে গেছে ছোট ছোট পতাকায়। বড় পর্দায় খেলা উপভোগের জন্য প্রজেক্টটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হলে যাঁরা একই দলের সমর্থক, তাঁরা বিভিন্ন কমিটি গঠন করেছেন। অন্য দলের সমর্থকেরাও ঘোষণা করেছেন পাল্টা কমিটি। ক্লাসে শিক্ষকেরা তাঁদের পছন্দের দলের কথা বলছেন, তাঁদের ছাত্রজীবনের বিশ্বকাপের স্মৃতি ভাগাভাগি করছেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত ঝুপড়িতে চায়ের আড্ডার বিষয়ও এখন বিশ্বকাপ। কাপের পর কাপ চা শেষ হয়, কিন্তু আড্ডা শেষ হয় না।
জার্সি পরে ফুটবল খেলা হচ্ছে, ফটোশুট চলছে। বিশ্বকাপ শুরুর দিন দল-মত নির্বিশেষে র্যালি ও আনন্দমিছিলে বের করেছিল শিক্ষার্থীরা। বিশ্বকাপ উপলক্ষে কুইজ এবং শর্টবারে ফুটবল খেলার আয়োজন করেছে চিটাগং ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট ক্লাব। দিন শেষে একটাই আফসোস। বিশ্বকাপ এলে ‘ব্রাজিল ব্রাজিল’, কিংবা ‘আর্জেন্টিনা আর্জেন্টিনা’ স্লোগানের বদলে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগান যদি দিতে পারতাম! একদিন আমরাও বিশ্বকাপ খেলব, সেই স্বপ্ন তো দেখতেই পারি।