Thank you for trying Sticky AMP!!

শীতে কোন ত্বকে কেমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন

যে ফেসওয়াশই বেছে নিন, তা আপনার ত্বকের উপযোগী কি না, নিশ্চিত হয়ে নিন। মডেল : নাজিয়া

সুস্থতা আর সৌন্দর্যের মূল কথাই হলো পরিচ্ছন্নতা। ত্বক যখন সঠিকভাবে ধোয়া হবে, কেবল তখনই সৌন্দর্যচর্চার অন্যান্য সামগ্রী থেকে ঠিকঠাক ফল পাওয়া যাবে। সঠিক ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া হলে ত্বক দেখায় উজ্জ্বল, লাবণ্যময়। ভুল উপাদান প্রয়োগে কিন্তু হতে পারে হিতে বিপরীত। তাই কী দিয়ে মুখ ধোয়া হচ্ছে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে নানা ধরনের ফেসওয়াশের মধ্যে কোনটা ভালো হবে বাছাই করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান অনেকেই। যে ফেসওয়াশই বেছে নিন, তা আপনার ত্বকের উপযোগী কি না, নিশ্চিত হয়ে নিন। কেনার সময় অবশ্যই এর উপাদানগুলো দেখে নিন।

ত্বক যখন সঠিকভাবে ধোয়া হয়, তখনই সৌন্দর্যচর্চার অন্যান্য সামগ্রী থেকে ঠিকঠাক ফল পাওয়া যায়

আপনার ত্বকের ধরন কী?

মুখের পুরোটাই যদি চকচকে দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ত্বক তৈলাক্ত প্রকৃতির। অপর দিকে পুরো মুখ যদি টান টান অনুভব করেন, তাহলে আপনার ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির। কপাল ও নাক চকচকে কিন্তু মুখের বাকি অংশ টান টান? তাহলে আপনার ত্বক মিশ্র ধরনের। আর এগুলোর কোনোটিই যদি না হয়, তাহলে আপনার ত্বক স্বাভাবিক। ত্বকের ধরন ও ফেসওয়াশের উপকরণ বুঝে সঠিক ফেসওয়াশ বেছে নেওয়ার জন্য কী কী খেয়াল রাখতে হবে, জানালেন সৌন্দর্যচর্চাকেন্দ্র পারসোনার পরিচালক নুজহাত খান।

ফেসওয়াশ ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে

কার জন্য কোন ফেসওয়াশ?

ক্রিমভিত্তিক ফেসওয়াশ শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ততা ধরে রাখতে এ ধরনের ফেসওয়াশ কার্যকর। স্বাভাবিক, মিশ্র ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও এ ধরনের ফেসওয়াশ বেছে নিতে পারেন।

ফোমভিত্তিক ফেসওয়াশ তৈলাক্ত, স্বাভাবিক, মিশ্র ও সংবেদনশীল ত্বকের উপযোগী। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় থাকে, বাড়তি তেলও দূর হয়। তাই দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ‘ম্যাট লুক’ পাওয়া যায়। ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কারও হয়। বাড়ে উজ্জ্বলতা। ত্বকে ক্ষুদ্র ছিদ্র (পোর) থাকলে তা–ও কমে আসে।

জেলভিত্তিক ফেসওয়াশ যেকোনো ত্বকেই ব্যবহার করা যায়। যদি এর উপাদানটি হয় ত্বক উপযোগী। এটিও ত্বকের বাড়তি তেল দূর করে। ত্বক থাকে পরিচ্ছন্ন, ‘ম্যাট’ ও উজ্জ্বল।

ক্লেভিত্তিক ফেসওয়াশ ত্বকে বাড়তি তেল জমে থাকতে দেয় না। ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো। প্রায়ই যাঁদের ব্রণ হয়, তাঁদের জন্যও কার্যকর।

ফেসওয়াশে যেন রাসায়নিক বা অ্যালকোহল না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

কোন ত্বকে কোন ফেসওয়াশ?

স্বাভাবিক ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, রেটিনল, ভিটামিন সি এবং রাসায়নিক এক্সফোলিয়েন্ট–সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ বেছে নিন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য চাই আর্দ্রতা দেবে এমন উপাদানসমৃদ্ধ কোমল ফেসওয়াশ, যা হতে হবে ঘ্রাণবিহীন ও হাইপোঅ্যালারজেনিক (অর্থাৎ যাতে অ্যালার্জির প্রবণতা কম)। ভিটামিন ই, ল্যাকটিক অ্যাসিড, হায়ালুরনিক অ্যাসিড, সেরামাইড, ল্যানোলিন ও প্রাকৃতিক তেলসমৃদ্ধ ফেসওয়াশ ভালো। অ্যালোভেরা, দুধ, মধু, জোজোবা অয়েল কিংবা স্ট্রবেরিও দারুণ উপকরণ। খেয়াল রাখুন, কোনো রাসায়নিক বা অ্যালকোহল যাতে না থাকে। বিশেষত গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ও স্যালিসাইলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো এড়িয়ে চলুন।

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মৃদু, জেলভিত্তিক বা ক্লে ফেসওয়াশ বেছে নিন, যাতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা ল্যাকটিক অ্যাসিডের আধিক্য রয়েছে। নায়াসিনামাইডও কাজে দেবে। কোনো তেল, অ্যালকোহল বা ক্রিমজাতীয় উপাদান যাতে না থাকে। তবে টি ট্রি অয়েল ও অ্যালোভেরা বেশ কাজে দেয়।

সংবেদনশীল ও মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে খুবই যত্নশীল হতে হবে। এমন ফেসওয়াশ বেছে নিন যা হাইপোঅ্যালারজেনিক ও কৃত্রিম ঘ্রাণবিহীন, যাতে সালফেট, অ্যালকোহল, প্যারাবেন ও সাবান নেই। মাইক্রোবিডস রয়েছে এমন ফেসওয়াশ ও স্ক্রাব এড়িয়ে চলুন। ভিটামিন ই–সমৃদ্ধ ফেসওয়াশ বেছে নেওয়া ভালো।