মেয়েদের পোশাকে ঈদের ধারা

মেয়েদের ঈদপোশাকে এবার শীর্ষে রয়েছে সালোয়ার–কামিজ। কাটছাঁটে মোটাদাগে নতুন কিছু যোগ হয়নি। হালকা ও গাঢ়—দুই রঙের ব্যবহারই দেখা গেছে। সব ধরনের পোশাকেই প্রাধান্য পেয়েছে ফুলেল নকশা। খাড়ির কাজ, জারদৌসি, এমব্রয়ডারি আর কারচুপির কাজের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এসব নকশা। চলুন দেখা যাক কয়েকটি ফ্যাশন হাউসের নির্বাচিত কিছু ঈদসংগ্রহ।

হাতে বোনা মসলিন কাপড়ে তৈরি কামিজ। ম্যাজেন্টা পোশাকটিতে একই রঙের সুতায় হাতের কাজ করা হয়েছে। কলারের ভাঁজে আছে গ্লিটারের নকশা।
মডেল: সারিকা সাবা, সাজ: অরা বিউটি লাউঞ্জ, পোশাক: শেষের কবিতা, ছবি: সুমন ইউসুফ
মিক্সড সুতির কাপড়ে তৈরি কুর্তি। রং ও নকশা—দুটোই গরমে আরাম দেবে। গলার পাশে হালকা সুতার নকশা।
ক্রেপ কাপড়ের লং গাউনের ওপর সাদা কাপড়ের শর্ট কোটি। কালো সুতার ফুলেল নকশায় কোটিটি গাউনে এনেছে জমকালো আবহ।
গতানুগতিক ছাঁটের সুতির লম্বা কামিজ। ওপরে গ্লিটার আর ব্লকের নকশা। যেকোনো বয়সেই মানানসই।
কামিজটিকে বিশেষ করে তুলেছে লম্বা শ্রাগ। মসলিনের শ্রাগ জুড়ে কারচুপি কাজ, ফুলেল নকশা।
সাটিন কাপড়ে তৈরি শর্ট কুর্তা। প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ফুলেল নকশাকে।
ঈদে গরম আবহাওয়ায় সারা দিন ঘুরে বেড়ানোর জন্য বেছে নিতে পারেন এমন ঢিলেঢালা পোশাক। হাওয়াই মিঠাই রঙের জামদানি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কাফতান। আরাম ও আভিজাত্য—দুটোই মিলবে।
আনারকলি ছাঁটের কামিজ। ভি শেপের গলায় লম্বা পাইপিং। গাঢ় লাল রঙের কাপড়ে খাড়ির কাজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে উৎসবের আমেজ।
নরম মসলিন কাপড়ের কামিজে বুটি নকশার কাজ। চুমকির ব্যবহারও আছে, তবে পরিমিত। সোনালি রঙের এই থ্রি–পিস ঈদের দিনের জন্য আদর্শ।