ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও তারকাদের পাশাপাশি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেন-জিরা
ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও তারকাদের পাশাপাশি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেন-জিরা

ফ্যাশনের ‘গেম চেঞ্জার’ জেন–জিরা কী পরছে

ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার, মডেল ও তারকাদের পাশাপাশি ফ্যাশন স্টেটমেন্ট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জেন-জিরা। বিশ্বব্যাপী ফ্যাশনিস্তা জেন-জিদেরই বলা হচ্ছে ফ্যাশনের ‘গেম চেঞ্জার’। এই তরুণেরা লাক্সারি ফ্যাশনকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা গেয়েছে টেকসই ফ্যাশনের জয়গান।

কোনো গণ্ডিতে আটকে নেই  

ফিউশনকে নতুন করে চেনাচ্ছে তরুণেরা। রেট্রো, ভিনটেজ আর ফিউচারিস্টিক উপাদান, সবই রয়েছে এই তরুণদের পোশাকে। জেন–জি নতুন করে ট্রেন্ডে এনেছে পলকা ডট, রেট্রো ফুটবল স্নিকার্স, ১৯৪০ দশকের হলিউডি গাউন।

অন্যদিকে হিপহপ, ধাতব, হুডির সঙ্গে মডার্ন পোশাকও পরছে দেদার। এককথায়, জেন–জিদের ফ্যাশন কোন গণ্ডিতে আটকে নেই। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো দেশ ও সংস্কৃতির বেড়া ডিঙিয়ে বিশ্বব্যাপী এই তরুণ প্রজন্ম প্রায় একই ধরনের পোশাক পরছে।  

জেন-জিরা আটকে থাকে না কোনো নির্দিষ্ট স্টাইলে

২০২৪ সালে তরুণেরা টেকসই আর স্ট্রিট ফ্যাশনের পাশাপাশি ভিনটেজ, রেট্রো, ওভারসাইজড ফ্যাশনকে উদ্‌যাপন করেছে। তরুণীদের পরনে দেখা গেছে কটেজকোর, করসেট ড্রেস। এমনকি গথিক ফ্যাশনকেও বাদ দেয়নি এই তরুণেরা।

জেন–জিদের কল্যাণে নেটের লম্বা মোজার চল দেখা যাচ্ছে শহুরে নানা আয়োজনে। ডেনিম বা লেদারের মিনি জ্যাকেট, মিনি কোটিও রয়েছে ট্রেন্ডে। জেন–জিরা পোশাকে বো, চেইন ও ফিতার ব্যবহার রেখেছে।

জেন–জিদের ফ্যাশন কোনো কিছুর ভেতরে আবদ্ধ নেই। মিনি স্কার্ট আর নানা লেয়ারে কুচি দেওয়া ঘেরওয়ালা কটেজ কোর, দুই-ই তাঁদের কল্যাণে রয়েছে ট্রেন্ডে। নানা রঙের সমাবেশ বা প্রিন্টের বদলে মনোক্রোমই প্রাধান্য পাচ্ছে তরুণদের কাছে।

জেন–জিদের ফ্যাশন কোনো কিছুর ভেতরে আবদ্ধ নেই

লিঙ্গনিরপেক্ষ পোশাক

জেন–জিরা জেন্ডার ফ্লুইড ফ্যাশন অর্থাৎ  নারী-পুরুষনির্বিশেষ পরতে পারেন, এমন ধরনের পোশাকের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। আর ঠিক এ কারণেই অ্যাথলেটিক ওয়্যার ছিল ট্রেন্ডে। ২০২৫ সালে অ্যাথলেটিক পোশাকের জনপ্রিয়তা আরও বাড়বে বই কমবে না। তরুণ-তরুণীদের টি–শার্টে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে গ্রাফিক নকশা।  

সবার আগে উপযোগিতা

জেন–জিদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে ‘ইউটিলিটি ফ্যাশন’

জেন–জিদের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে ‘ইউটিলিটি ফ্যাশন’। লোকে কী বলবে, পোশাকটা দেখতে কেমন, এসবের চেয়ে তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ—পোশাকটি কতটা প্রয়োজন মেটতে পারছে। তাঁদের পোশাকে ফুটে উঠছে নিজস্ব ব্যক্তিত্ব আর রুচি। এ কারণেই কাস্টমাইজড, পারসোনালাইজড পোশাকও রয়েছে ট্রেন্ডে। ২০২৩–এ ট্রেন্ডে ছিল বেলবটম বা মম জিনস। ২০২৪ সালে এই তরুণেরা লো রাইজ প্যান্টকে নিয়ে এসেছে ট্রেন্ডে। এ ছাড়া রয়েছে কার্গো প্যান্ট, মোবাইল প্যান্ট, রিপড জিনস, শর্টস। পায়ে এই তরুণেরা পরছেন চাঙ্কি স্নিকার্স, প্ল্যাটফর্ম শু, কাউবয় বুট ইত্যাদি।  

সূত্র: প্রিন্টফুল ও রিডার্স ডাইজেস্ট