Thank you for trying Sticky AMP!!

যৌনতা নিয়ে খোলামেলা আলাপ করে জনপ্রিয়, কে এই ৬২ বছর বয়সী ইউটিউবার

পৌরাণিক কাহিনি ও আখ্যানগুলোতে পাওয়া প্রেম ও যৌনতার সম্পর্ক এবং মানব আচরণ–সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করেন সীমা আনন্দ। বিষয়টি নিয়ে কাজ করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পান ৬২ বছর বয়সী এই ইউটিউবার, লেখক ও বক্তা। যৌনতাবিষয়ক আলাপে পুরাণের সঙ্গে বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটান তিনি। যৌনতা বিষয়ে তাঁর খোলামেলা, বিজ্ঞাননির্ভর আলোচনা বিশেষ করে বিশেষ করে ভারতে ব্যাপক জনপ্রিয়।

সীমা আনন্দ ১৯৬২ সালের ১৮ আগস্ট ভারতে উচ্চশিক্ষিত পরিবারে জন্ম নেন। তাঁর দাদি ছিলেন সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট
হাইস্কুলে পড়ার সময় সীমা আনন্দের বাবা মারা যান। সেই সময় মারাত্মক বিষণ্নতা তাঁকে গ্রাস করে
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করে ২৩ বছর বয়সে চলে যান যুক্তরাজ্যে। তৃতীয় সন্তান জন্মদানের পর পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হন সীমা
সীমা আনন্দের শিক্ষকেরা তাঁকে বিষণ্নতা থেকে বেরিয়ে নিজের সম্ভাবনাকে যথাসম্ভব বিকশিত করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অনুপ্রাণিত করেন

Also Read: জয়ার কাছে সম্পর্কে সবচেয়ে জরুরি কী

লন্ডনে এক শিক্ষক সীমাকে বলেছিলেন, ‘জীবনকে ছোট ছোট অনেকগুলো গল্প ভাবো। সব গল্পের শেষটা “হ্যাপি এন্ডিং” না-ও হতে পারে। তবে মনে রাখবে, জীবনের গল্পটা যেন অন্যকে অনুপ্রাণিত করে।’ নিজেকে তাই একজন গল্পকার বলেন সীমা, সব সময় নিজের সেরাটা দিয়ে সেই গল্পগুলো লিখতে চেষ্টা করেন। যেন গল্পের পরের অধ্যায়গুলো আগের অধ্যায় থেকে ভালো হয়
৬২ বছর বয়সী সীমা আনন্দ তাঁর স্বামী ও ৩ সন্তান নিয়ে থাকেন যুক্তরাজ্যের লন্ডনে।
মাঝেমধ্যে ভারতে আসেন সীমা। বিভিন্ন আয়োজনে অংশ নেন
২০১২ সালে ‘দ্য আর্ট অব সিডাকশন’ বিষয়ে কথা বলেন টেড টকে। ইউটিউবে এখন পর্যন্ত সেই ভিডিও দেখা হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখের বেশিবার
যৌনতা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান আর প্রশ্নের উত্তর দেন সীমা। সেসব ভিডিওর নিচে জমা হয়েছে মিলিয়ন ভিউ
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রথম ইউটিউবে আসেন সীমা
অল্প সময়ে যাঁরা ‘সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার’ হিসেবে নাম করেছেন, তাঁদেরই একজন সীমা আনন্দ
এই জনপ্রিয়তার কারণে ইনস্টাগ্রামে সীমা আনন্দের অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১১ লাখ
সীমা আনন্দের ইউটিউব চ্যানেলে ১ মিলিয়নের বেশি ফলোয়ার রয়েছেন
২০১৭ সালে ‘দ্য আর্ট অব সিডাকশন’ নামের একটা বই লেখেন সীমা আনন্দ। সেটি একটি বেস্টসেলার

Also Read: সোয়েটার ছাড়া কি আর শীত যায়