ভালো থাকুন

খুসখুসে কাশি কেন হয়?

কাশি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে তাকে পুরোনো কাশি বলে। আর সঙ্গে শ্লেষ্মা না থাকলে সেটাকে খুসখুসে কাশি বলে। সাধারণত হাঁপানি, বিভিন্ন রকমের ওষুধ সেবন, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ-পরবর্তী জটিলতা, সাইনাসের প্রদাহ, নাক দিয়ে দীর্ঘদিন সর্দি ঝরার পরবর্তী জটিলতা, অতিরিক্ত ধূমপান ইত্যাদি কারণে খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে।
পুরোনো কাশির সঙ্গে রক্তমিশ্রিত শ্লেষ্মা বেরোলে সেটা যক্ষ্মা বা ফুসফুসের ক্যানসারের কারণে হতে পারে। কফ ভ্যারিয়েন্ট অ্যাজমা হলে সাধারণত একটানা দীর্ঘদিন কাশি থাকে এবং বুকে কোনো ঘড়ঘড় শব্দ পাওয়া যায় না। সাইনাসের প্রদাহের কারণে কাশি হলে সঙ্গে সাধারণত মাথাব্যথাও থাকে। এই ব্যথা ঘাড় বা শরীর সামনের দিকে ঝোঁকালে বেশি হয় এবং রাতের বেলায় তীব্র রূপ নেয়।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে বা শুয়ে থাকলে বা বেশি পরিমাণে খাবার খেলে যদি কাশি হয়, সেটার কারণ পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা। শ্বাসতন্ত্রে ভাইরাসের আক্রমণ-পরবর্তী জটিলতার কাশিতে সাধারণত একটা সংক্রমণের ইতিহাস থাকে। এতে কাশি মৃদু হয়, যা বিরতি দিয়ে আসে, এমনকি তিন বা চার মাসও থাকতে পারে। এ ছাড়া অ্যাটিপিকাল নিউমোনিয়ার কারণে কারও দীর্ঘদিন ধরে কাশি লেগে থাকতে পারে।

ডা. মোহাম্মদ যায়েদ হোসেন
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
প্রশ্নোত্তর

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসেই কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।
স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়:
ভালো থাকুন
প্রথম আলো, সিএ ভবন
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার ঢাকা-১২১৫
ই-মেইল:bhalothakun@prothom-alo.info

স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
ধূমপায়ীদের তুলনায় অধূমপায়ীরা কত বেশি দিন বাঁচেন?
আমার চেষ্টাটা করে দেখব
অধূমপায়ীদের গড় আয়ু ধূমপানে আসক্ত ব্যক্তিদের চেয়ে ১০ বছর বেশি। তবে ধূমপায়ী হয়েও যাঁরা দীর্ঘায়ু পান, তাঁরা শরীরে একধরনের ‘সহজাত স্থিতিশীলতা’ ধারণ করেন। ফলে তাঁরা ধূমপানের মারাত্মক প্রভাবগুলো মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে পারেন।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়