Thank you for trying Sticky AMP!!

সুস্থ হাড়ের জন্য যা করবেন

হাড় আমাদের সমস্ত শরীরের ভার বহন করে। সুস্থ ও টেকসই হাড় পেতে হলে শৈশব থেকেই সচেতন হওয়া জরুরি। কেননা, পিক বোন মাস বা হাড়ের সর্বোচ্চ ঘনত্ব আমরা লাভ করি ৩০ বছর বয়সের আগেই। এরপর হাড়ের ঘনত্ব আর বাড়ে না, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে। হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে এই অল্প বয়সে অর্জিত হাড়ের ঘনত্ব, স্থিতিস্থাপকতা ও খনিজের ওপর।

তাহলে কী করে আমরা হাড়ের এই সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারি?

চাই যথেষ্ট খনিজ: একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দিনে ১০০০ মিলিগ্রাম ও নারীর ১২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করা উচিত। নারীদের অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্য পান করানোর সময় এবং মেনোপজের পর এই ক্যালসিয়ামের চাহিদা আরও বেশি। উচ্চ ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার হচ্ছে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, নানা ধরনের ছোট মাছ ও সামুদ্রিক মাছ, সবুজ পাতাযুক্ত শাক, বাদাম ইত্যাদি। শৈশব ও কৈশোর থেকে ভালো মানের ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যথেষ্ট খেলে মজবুত হাড় পাওয়া সম্ভব।


ভিটামিন ডি: হাড় সবল রাখার জন্য পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি দরকার। সূর্যালোকে আছে এই ভিটামিন। তাই দিনের একটি সময় রোদে হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়াম করা উচিত। এই অভ্যাস থাকা দরকার সব বয়সই। এ ছাড়া তৈলাক্ত মাছ, মাশরুম, ডিম ইত্যাদিতে আছে ভিটামিন ডি।


ব্যায়াম: নিয়মিত কায়িক শ্রম ও ব্যায়াম হাড়সন্ধিকে মজবুত করে। অল্প বয়সে তো বটেই, এমনকি বেশি বয়সেও নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে পারলে হাড়ক্ষয় বা ভঙ্গুর হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।


ওষুধ ও ধূমপান: ধূমপান হাড়ের ভঙ্গুরতা বাড়ায়। এ ছাড়া যাঁরা দীর্ঘদিন স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, খিঁচুনির কিছু ওষুধ, মিথোট্রেক্সেট, ওমিপ্রাজল ইত্যাদি সেবন করেন, তাঁদের অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ে।


রোগবালাই:
কিছু কিছু রোগ, যেমন রিউমাটয়েড আরথ্রাইটিস, হাইপোগোনাডিজম ইত্যাদির কারণে হাড়ক্ষয় বেশি হয়। নারীদের মেনোপজের পর বেড়ে যায় হাড়ক্ষয়ের আশঙ্কা। তাই বয়স্ক নারীদের খাবারদাবার ও ব্যায়ামের দিকে বেশি সচেতনতা দরকার। যাঁদের সময়ের আগেই মেনোপজ হয়েছে (যেমন অল্প বয়সে জরায়ু ফেলে দেওয়া) তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শে হরমোন থেরাপি নিতে পারেন। হাড়ক্ষয়ের মাত্রা জানতে এখন বিশেষ পরীক্ষা করে নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেওয়া যায়। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসা নিন।

আগামীকাল পড়ুন: হঠাৎ চোখে অন্ধকার

প্রশ্ন-উত্তর

প্রশ্ন: আমার বয়স ২১। যানবাহনে চড়লে অসুস্থ হয়ে যাই। বমি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা এসব হয়। বমির বড়ি খেয়েও কোনো প্রতিকার হয় না। আর রোদে ঘেমে অল্প কাজ করলেই শুরু হয় অসহনীয় মাথাব্যথা। করণীয় কী?

উত্তর: আপনার মোশন সিকনেস আছে। যানবাহনে চড়ার সময় সামনের দিকের সিটে বসবেন, বাইরে দৃষ্টি মেলে দেবেন। যাত্রার আগে ভারী কিছু খাবেন না। যাত্রার সময় বই পড়বেন না বা মোবাইল ফোনে দৃষ্টি নিবদ্ধ করবেন না। যাত্রার আধা ঘণ্টা আগে মোশন সিকনেসের ওষুধ সেবন করুন। রোদে গেলে মাথাব্যথা হলে মাইগ্রেন আছে কি না, জেনে নিন। একজন মেডিসিন বা নিউরোলজিস্টের সঙ্গে দেখা করুন।

ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসে কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।
ই–মেইলে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান: valothakun@prothomalo.com