Thank you for trying Sticky AMP!!

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে কথায় কথায় ওষুধ না খেয়ে কিছু প্রাকৃতিক খাবারের ওপর ভরসা করতে পারেন

গ্যাস্ট্রিক থেকে রেহাই পেতে ওষুধের বদলে যেসব খাবার খাবেন

ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত না করলে, পানি কম খেলে বা খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া হজম না হলেও পেটে বাধে গোলমাল। কিছু প্রাকৃতিক খাবার আছে, যা খেলে গ্যাসসহ পেটের অন্যান্য সমস্যায় উপকার মেলে। খাবারগুলো সম্পর্কে জেনে নিন—

দই

দই

ল্যাকটোব্যাসিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো নানা উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে দইয়ে। দই খেলে হজম ভালো হয়, গ্যাস কমে। খাবারের পর টকদই খাওয়া সবচেয়ে ভালো।

হলুদ

হলুদ

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, হজমসংক্রান্ত সব ধরনের সমস্যা সমাধানে হলুদ দারুণ কার্যকর। এটি চর্বিজাতীয় খাবার হজমে ভূমিকা রাখে। হলুদে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা প্রদাহ কমায়।

পালংশাক

পালংশাক

পালংশাকে থাকে অদ্রবণীয় আঁশ, যা পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখে, গ্যাস দূর করে। পরিপূর্ণ সুবিধা পেতে পালংশাক ঠিকমতো রান্না করে নিতে হয়।

লেবু-পানি

লেবু-পানি

পর্যাপ্ত পানি খাওয়ার সুফলের কথা সবাই জানেন। কিন্তু হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যুক্ত করলে তা প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।

মৌরি

মৌরি

মৌরির অনেক গুণ। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি, আয়রন, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান আছে মৌরিতে। মৌরির চা হজমপ্রক্রিয়া দারুণ উপকারী। পেটের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে মৌরির তেলের বিশেষ গুণ আছে। গ্যাস্ট্রিক এনজাইম তৈরিতে মৌরি কার্যকর ভূমিকা রাখে।

শসা

শসা

প্রচুর সিলিকা ও ভিটামিন সি আছে শসায়। এতে উচ্চমাত্রায় পানি ও নিম্নমাত্রার ক্যালরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। ফলে যাঁরা দেহের ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্য শসা আদর্শ টনিক হিসেবে কাজ করে। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা সালাদে বেশি করে শসা খেতে পারেন। কাঁচা শসা চিবিয়ে খেলে তা হজমে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে। নিয়মিত শসা খেলে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

কলা

কলা

যাঁরা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমে সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।

তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

Also Read: গ্যাস্ট্রিকের জন্য দায়ী কোনটি—তেল নাকি মসলা?