গর্ভেও কেন শিশুর কিডনি ফুলে যায়

গর্ভাবস্থায় অনেক সময় শিশুর কিডনিতে পানি জমে
ছবি: পেক্সেলস

গর্ভধারণের পর প্রত্যেক মায়েরই নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং গর্ভ–পূর্ববর্তী চেকআপ করানো উচিত। এতে করে অনেক জন্মগত ত্রুটি সন্তান জন্মের আগেই নির্ণয় করা সম্ভব হয়। এর মধ্যে একটি হলো শিশুর কিডনিতে পানি জমা বা হাইড্রোনেফ্রোসিস।

কোনো কারণে কিডনিতে প্রস্রাব জমে কিডনি ফুলে গেলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় তাকে বলে হাইড্রোনেফ্রোসিস। বর্তমানে প্রতি ১০০ অন্তঃসত্ত্বা মায়ের ১ থেকে ৫ জনের গর্ভের শিশুর হাইড্রোনেফ্রোসিস ধরা পড়ছে।

কীভাবে বোঝা যাবে গর্ভের শিশুর হাইড্রোনেফ্রোসিস আছে?

মায়ের আলট্রাসোনোগ্রাফি করেই রোগটি নির্ণয় করা যায়।

কী কী কারণে কিডনিতে পানি জমে?

কোনো কারণে প্রস্রাবের রাস্তায় যদি বাধা থাকে, যেমন পিইউজে অবস্ট্রাকশন, ভিইউজে অবস্ট্রাকশন, যদি প্রস্রাবের রাস্তায় পর্দা থাকে, প্রস্রাব মূত্রথলি থেকে কিডনিতে উঠে যায়, মূত্রনালির মাংসপেশি দুর্বল হয়ে কিডনিতে প্রস্রাব জমতে পারে।

কিডনিতে পানি থাকলে কী করবেন?

মা কিংবা বাচ্চার স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকলে বাচ্চার পরিপূর্ণ বয়সে নরমাল ডেলিভারি করানো যেতে পারে। জন্মের পর তিন থেকে পাঁচ দিন বয়সে বাচ্চার একটা কিডনির আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হবে, এখনো ফোলা বা পানি জমা আছে কি না। যদি থাকে, অবশ্যই দ্রুত শিশু সার্জারি বা শিশু ইউরোলজি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ করে ছেলেশিশু হলে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।